বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতীয় প্রতিরক্ষায় নতুন ক্ষেপণাস্ত্র। বৃহস্পতিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের বৈঠকের পরই ব্রিটিশ সরকার জানিয়ে দেয়, ভারতীয় সেনার হাতে লাইটওয়েট মাল্টিরোল মিসাইল তুলে দেব আমরা (India Buying Missiles From Britain)। আর এই খবরের পরই কার্যত শিড় হয়েছে ভারতের শত্রুরা! নয়া দিল্লির দাবি, ব্রিটেনের দুর্দান্ত ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের অস্ত্র ভান্ডারে এলে দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নতুন মাত্রা পাবে।
বিবৃতিতে ঠিক কী জানাল ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক?
দ্যা হিন্দুর রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভারত এবং ব্রিটেনের দুই প্রধানের বৈঠকের পরই ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘খুব শীঘ্রই ভারতীয় সেনার হাতে লাইটওয়েট মাল্টিরোল মিসাইল তুলে দেওয়া হবে।’ মন্ত্রক এও বলেছে, ‘এই মুহূর্তে যেখানে ইউক্রেনের জন্য বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে, সেখানেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য তৈরি হবে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল এবং লঞ্চার।’ ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এমন বিবৃতির পর ভারতও জানিয়েছে, ‘মিসাইল চুক্তির হাত ধরে একে অপরকে সাহায্য করার মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও প্রশস্ত হল। শোনা যাচ্ছে, বিশেষ মিসাইলের জন্য ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সাথে 350 মিলিয়ন পাউন্ড অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় 4,200 কোটি টাকার চুক্তি সই করেছেন মোদি।’
ব্রিটেনের নৌ বাহিনীকেও প্রশিক্ষণ দেবে ভারত
জানা যাচ্ছে, ব্রিটেনের কাছ থেকে চুক্তির ভিত্তিতে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র নেওয়ার সাথে সাথেই নৌ সেনার ক্ষেত্রেও একে অপরের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক মজবুত করার পথে হেঁটেছে ভারত এবং ব্রিটেন। রিপোর্ট বলছে, সামরিক প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সেই চুক্তির অধীনে ভারতীয় বায়ুসেনার ফ্লাইং ইন্সট্রাকটাররা ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ার ফোর্সে ট্রেনার হিসেবে কাজ করবেন। এর অর্থ, ভারতীয় বায়ু সেনার ফ্লাইং ইন্সট্রাকটারদের কাজ হবে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
অবশ্যই পড়ুন: বর্ধমানে গোপনাঙ্গ দেখিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি যুবকের! যুবতী সাহস দেখিয়ে ভিডিও করতেই …
উল্লেখ্য, 350 মিলিয়ন পাউন্ড চুক্তির ভিত্তিতে ব্রিটেনের কাছ থেকে ভারত যে লাইটওয়েট মাল্টিরোল মিসাইল নামক এয়ার টু সারফেস, এয়ার টু এয়ার, সারফেস টু এয়ার এবং সারফেস টু সারফেস বিপদজনক ক্ষেপণাস্ত্র পাচ্ছে তার নামকরণ কিন্তু করা হয়েছে পৌরাণিক পাখির নামেই। হ্যাঁ, এই মিসাইল আসলে শত্রুর বিমান এবং সামরিক সরঞ্জামে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। মূলত সে কারণেই, পৌরাণিক পাখি যার নজর খুব তীক্ষ্ণ এবং যে কখনও বিশ্রাম নেয় না সেই পাখির বৈশিষ্ট্যের সাথে তুলনা করেই এই মিসাইলটির নামকরণ করা হয়েছে। তাই অনেকেই এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে মার্টলেটস নামেও চেনেন।