শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই ভারতের রেল ব্যবস্থায় একের পর এক পরিবর্তন আসছে। বিশেষ করে বিগত কয়েক বছরে রেলের তরফে এমন বেশ কিছু প্রকল্প শুরু করা হয়েছে যা ভারতবাসী তথা বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে।যদিও আজ কথা হবে রেলের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সেবক-রংপো প্রকল্পের আপডেট নিয়ে। এমনিতে তো সিকিমকে দেশের রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী সেবক-রংপো রেললাইন প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। তবে এই রেল প্রকল্পেই বিরাট মাইলফলক ছুঁলো IRCON ।
সিকিম রেল প্রকল্পের মুকুটে নয়া পালক
আসলে জানা যাচ্ছে, সিকিমের টানেলে ব্যালাস্টলেস ট্র্যাক বসানোর কাজ শেষ করে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করল ইরকন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড সিভোক-রংপো রেল প্রকল্পের আওতায় সিকিমের একমাত্র টানেল টানেল টি-১৪-তে ব্যালাস্টলেস ট্র্যাক (বিএলটি) পাকাপাকিভাবে ইনস্টল করে একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। এই মাইলফলকটি NH10- এ ক্রমাগত একের পর এক বাধা যেমন ঘন ঘন ভূমিধস এবং চ্যালেঞ্জিং ভূখণ্ড সত্ত্বেও সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কিছু সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেও দাবি করেছে ইরকন।
Tunnel T14 কী?
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে Tunnel T14 কী? তাহলে জানিয়ে রাখি, এই রেল প্রকল্পের জন্য সিকিমের একমাত্র টানেল টি-১৪, ১,৯৭৭ মিটার বিস্তৃত এবং এখন একটি সম্পূর্ণ ব্যালাস্টবিহীন ট্র্যাক রয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে বারবার ভূমিধস, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বিঘ্ন সহ গুরুতর চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ইরকন এটি অর্জন করেছে।
সেবক-রংপো প্রকল্প
এই রেলপথটি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িকে সিকিমের রংপোর সঙ্গে যুক্ত করবে। ৪৪.৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র সিকিমের জন্যই নয়, সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য পরিবহন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দরজা খুলে দেবে। সেবক-রংপো রেলপথটিও কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে। সিকিম ও বাংলার উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে চারটি দেশের সীমান্ত রয়েছে- চীন, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান। এই এলাকার কিছু অংশকে চিকেন নেক বলা হয়। এটি খুবই স্পর্শকাতর এলাকা। সিভোক-রাংপো রেল লাইন কেবল পর্যটন জনবহুল অঞ্চলে যোগাযোগ উন্নত করবে না বরং সৈন্যরা দেশের ভিতরে এবং বাইরে চলে যাওয়ার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সহায়তাও সরবরাহ করবে।
প্রকল্পটিতে ১৪ টি টানেল, ১৩ টি বড় সেতু, ৯ টি ছোট সেতু এবং ৫ টি স্টেশন সহ ৪৫ কিলোমিটার রেল সংযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই প্রান্তিককরণের প্রায় ৩৮.৬৫ কিলোমিটার টানেলের মধ্য দিয়ে চলে, টানেল টি-১৪ সিকিমের একটি প্রধান অংশ হিসাবে।