পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ সময়ের সাথে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। আজ চাইলে রোডের মাধ্যমেই যে কোনো প্রান্তে চলে যাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে হাইওয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে নতুন হাইওয়ে তৈরির জন্য যে খরচ হয় সেটা উদ্ধার করার জন্য সরকারের তরফ থেকে টোল ট্যাক্স কালেকশন করা হয়। ছোট চারচাকা থেকে শুরু করে বাস ও ট্রাক সকলের থেকেই আলাদা আলাদা পরিমাণে টোল ট্যাক্স আদায় করা হয়। তবে এবার জানা যাচ্ছে, টোল ট্যাক্সের টাকা মেরে পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি।
১৪টি রাজ্যের ৪২টি টোল প্লাজা থেকে টাকা জালিয়াতি
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ এসটিএফের তরফ থেকেই NHAI টোল প্লাজাগুলিতে রেড করে বড়সড় কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে দেশের মোট ১৪টি রাজ্যের মোট ৪২টি টোল প্লাজাতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকার জালিয়াতি করা হচ্ছিল প্রতিদিন। বিগত দুই বছর ধরে এই কাণ্ড হয়ে আসছিল বলে খবর মিলেছে। এদিন বারাণসী থেকেই এই কর্মকান্ডের মাস্টারমাইন্ড ৩৫ বছর বয়সী এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আলোক কুমার সিংকে ধরা হয়েছে।
এছাড়া মধ্যপ্রদেশ থেকে মনীশ মিশ্র ও প্রয়াগরাজ থেকে রাজীব কুমার মিশ্রকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত এই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৬ (২), ৩১৯ (২), ৩১৮ (৪), ৩৩৮ , ৩৩৬ (৩) ও ৩৪০ (২) ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কীভাবে হচ্ছে টোল প্লাজার জালিয়াতি?
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার দৌলতে একটি অবৈধ সফটওয়্যার বানিয়েছিলেন আলোক কুমার। সেটাই দিয়েই টোল ট্যাক্সের টাকা ফাস্ট ট্যাগ থেকে কেটে সরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাওয়র বদলে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছিল। জানা যাচ্ছে শুধুমাত্র মির্জাপুরেই দিনে ৪৫,০০০ টাকার ক্ষতি হচ্ছিল NHAI এর। তাহলে ভেবে দেখুন মোট ৪২টি টোল প্লাজা থেকে কত টাকার জালিয়াতি হচ্ছিল।
আরও পড়ুনঃ আগে টিকিট বুকিং পরে টাকা, নেই কোনো সুদ! গ্রাহকদের স্বার্থে নয়া সুবিধা আনল রেল
দেওয়া হচ্ছিল নকল রশিদ
এখন অনেকেরই প্রশ্ন যে যারা কাশের মাধ্যমে টোল দিচ্ছিলেন তাদের ক্ষেত্রে কীভাবে জালিয়াতি হচ্ছিল? এক্ষেত্রে অফিসিয়াল সফটওয়ারের পাশাপাশি অবৈধ ভাবে রশিদও প্রিন্ট করা হচ্ছিল। ফলে এতদিন সন্দেহ হয়নি কারোর। ধৃত ব্যক্তি নিজেই এই টোল প্লাজাতে গিয়ে অবৈধ সফটওয়্যার ইনস্টল করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ৯টি, মধ্যপ্রদেশে ৬টি, রাজস্থান গুজরাট ও ছত্তিশগড়ে ৪টি করে এভাবে মোট ৪২টি টোল প্লাজা রয়েছে।