শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল এক দারুণ সুখবর। এবার সেখানে তৈরি হতে চলেছে বাংলার প্রথম লুপ সেতু। ইতিমধ্যে জোরকদমে এই সেতু নির্মাণের কাজ চলছে বলে খবর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব দ্রুত এই সুন্দর সেতুটি তৈরি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে লুপ সেতুটিকে ঘিরে পর্যটকদের উত্তেজনা কার্যত তুঙ্গে রয়েছে। রাস্তার মাঝে সর্পিল আকারে নির্মীয়মাণ লুপ সেতুটি দেখতে বহু পর্যটক ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। কবে এই সেতু সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেটা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে সেতুটি ঠিক কোথায়? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই আর্টিকেলটির ওপর।
বাংলায় প্রথম লুপ সেতু
জানিয়ে রাখি, রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু তৈরি হচ্ছে জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের বাগরাকোটে। এই সেতুটি একবার তৈরি হয়ে গেলে একটার সঙ্গে আরেকটা জায়গা অনেকাংশে জুড়ে যাবে। বিশেষ করে সিকিম যাওয়া যেন আরও জলভাতের সমান হয়ে যাবে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে বিগত কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত দুই লেনের এই রাস্তা তৈরি হচ্ছে ৷ এই রাস্তা সিকিমের সঙ্গে যুক্ত করবে পশ্চিমবঙ্গকে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
রেলপথের মাধ্যমে আগামী দিনে বাংলা ও সিকিম একসঙ্গে জুড়তে চলেছে। সেভক ও রংপোর মধ্যে আগামী কিছু সময়ের মধ্যেই শুরু হবে রেল পরিষেবা। এতে করে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সেনারও সুবিধা হবে। ঠিক যেমন এই লুপ সেতুটি। বাগরাকোট থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে সামান্য গেলেই নতুন ৭১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের এই রাস্তা। মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে সেনার ভারত-চিন সীমান্তে যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া বা যাতায়াতের জন্য এটি মূল রাস্তা হতে চলেছে।
উপকৃত হবেন পর্যটক থেকে সেনাবাহিনী
এমনিতে শিলিগুড়ি থেকে সেভক হয়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এতদিন ছিল বাংলা ও সিকিমের লাইফ লাইন। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে সিকিম যাওয়ার ওই রাস্তা মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। এর বড় কারণ অবশ্যই তিস্তার ভাঙন ও লাগাতার ধস নামা। আটকে পরতে হত পর্যটকদের। তবে আর চিন্তা নেই, কারণ এই লুপ সেতুটি একবার তৈরি হয়ে গেলে সকলেরই যাত্রা মাখনের ন্যায় হয়ে যাবে।