বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আজ, শুক্রবার পাকিস্তানে লাবাইক ইয়া আকসা মিলিয়ন মার্চের ডাক দিয়েছে তেহরিক ই লাবাইক পাকিস্তান (TLP Protest In Pakistan)। আর ঠিক সেই পরিস্থিতিতে, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি জুড়ে জারি হয়েছে অঘোষিত কার্ফু। হিন্দুস্থান টাইমস বলছে, বিশৃংখল পরিস্থিতি এড়াতে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইসলামাবাদের কার্যত সব রুট বন্ধ করে দিয়েছে পাক সরকার।
বলা বাহুল্য, আজ ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ইজরায়েল বিরোধীরা। এর আগে গত পরশুদিন লাহোর শহরে একইভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ইজরায়েলবিরোধী মানুষজন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করায় টিএলপি সদস্যদের সাথে সংঘর্ষ বেঁধে যায় তাদের। আর সেই সংঘাতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এরপর আবার আজ ইজরায়েল বিরোধী বিক্ষোভের কারণে সরাসরি বিশেষ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তেহরিক ই লাবাইক পাকিস্তান।
টিএলপির কর্মসূচি নিয়ে বিশেষ সতর্কতা
গত বুধবার রাতে টিএলপির সদর দপ্তরে অভিযান চালায় পাঞ্জাব পুলিশ। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় সংগঠনটির প্রধান সাদ হুসেন রিজভিকে। লাহোর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। পরিস্থিতি যাতে আগামীতে আরও বেগতিক না হয় সেজন্য আজ অর্থাৎ শুক্রবার ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডিতে টিএলপির কর্মসূচি ঘিরে বিশেষ পুলিশি সতর্কতা জারি রয়েছে। শুধু তাই নয়, শুক্রবার মাঝরাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি।
সূত্রের খবর, রাওয়ালপিন্ডি এবং ইসলামাবাদ জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভির মন্ত্রণালয়। এদিকে, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে পাঞ্জাব প্রদেশ জুড়ে জারি হয়েছে 144 ধারা। ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডিতেও 144 ধরা জারি।পাশাপাশি আগামী 10 দিনের জন্য সমস্ত ধরনের বিক্ষোভ, জন সমাবেশ এবং বড় কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাকিস্তানের এই রাজনৈতিক দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি আগামীতে কতটা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে তা নিয়ে চিন্তিত পশ্চিমের দেশের অনেকেই।
অবশ্যই পড়ুন: পাকিস্তানকে ধাক্কা! উন্নত AIM-120 এয়ার টু এয়ার মিসাইল দিচ্ছে না জানাল আমেরিকা
উল্লেখ্য, শুক্রবার গাজা চুক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্থানে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা করে দেশটির চরমপন্থী ইসলামী রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-লাবাইক। যদিও এর আগে রাজনৈতিক দলটির সদর দপ্তর পুরোপুরি সিল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান পুলিশ। আর তা নিয়েই দানা বাঁধে সংঘর্ষ। এবার সে কারণেই ইজরায়েল বিরোধী মনোভাব নিয়েই একাধিক দাবিতে পথে নেমেছে পাকিস্তানি রাজনৈতিক দলটির কর্মীরা।