দেবপ্রসাদ মুখার্জী: ব্লুমবার্গ বিলিওনায়ার তালিকা বিশ্বের ধনকুবেরদের সম্পত্তি অনুসারে তাঁদের স্থান নির্ধারণ করে। এই তালিকা তৈরি করতে ব্লুমবার্গ বিভিন্ন ধরনের পাবলিক এবং প্রাইভেট ডেটার উপর ভিত্তি করে কাজ করে। স্টক মার্কেটের মূল্য, কোম্পানির আর্থিক রিপোর্ট, এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক তথ্য ব্যবহার করে ধনীদের সম্পত্তি নির্ধারণ করা হয়।
ব্যক্তিগত মালিকানাধীন কোম্পানির মূল্যায়ন করতে ব্লুমবার্গ তাদের পাবলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে তুলনা করে। প্রতিদিন তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। সেই সঙ্গে মার্কেটের পরিবর্তনের ওপরেও নজর দেওয়া হয়। আর এইসব বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধি বা হ্রাস নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কে? ভারতীয় ধনকুবেররা এই তালিকার কোন স্থানে রয়েছেন? এই সবটা জেনে নিন এই নিবন্ধ থেকে।
বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি কে?
২০২৪ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বরের ব্লুমবার্গ বিলিওনায়ার তালিকায় শীর্ষ স্থানধারী তিন জন হচ্ছেন ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস ও মার্ক জুকারবার্গ। তাঁরা প্রত্যেকেই ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পত্তির গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছেন। যেখানে ইলন মাস্ক ২৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পত্তি মালিক। তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জেফ বেজোসের সম্পত্তির পরিমান ২১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও মার্ক জুকারবার্গ বর্তমানে ২০০ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে কারা?
এদিকে ২০০ বিলিয়ন ডলারের গন্ডি টপকাতে না পারলেও এই তালিকার প্রথম পাঁচে নাম রয়েছে ল্যারি এলিসন ও বার্নার্ড আর্নল্ট-এর। ল্যারি এলিসন বর্তমানে ১৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পত্তির মালিক। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদিকে বার্নার্ড আর্নল্ট আগে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পত্তির মালিক থাকলেও তাঁর সম্পত্তি কমেছে ৩০.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে ১৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পত্তির মালিক হয়ে তিনি রয়েছেন পঞ্চম স্থানে।
ধনকুবের তালিকায় মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানি কোথায়?
ভারতের দুই শীর্ষ ধনকুবের মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানি তালিকার যথাক্রমে ১২ তম ও ১৪ তম স্থানে রয়েছেন। মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ ১১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমান ১০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাম্প্রতিক সময়ে আদানির সম্পদ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মূল কারণ হলো তার কোম্পানিগুলির শেয়ারের মুল্যবৃদ্ধি ও বাজারে উন্নতি। আদানি গত বছর মুকেশ আম্বানির থেকে পিছিয়ে পড়লেও, বর্তমানে তার সম্পদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।