শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ দীপাবলি মিটতে না মিটতেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে এবার পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে এমন এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যারপরে অনেকে উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের (EPFO) কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড ২৩ নভেম্বর চলতি অর্থবর্ষের প্রথম বৈঠকে বসবে। আর এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারি পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা অনুমোদন করবে, যা ১ জানুয়ারি থেকে চালু হবে।
পেনশন ব্যবস্থায় বড় বদল!
আসলে শ্রমমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বোর্ড বৈঠকে ইপিএফও-র অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট এবং বার্ষিক রিপোর্ট ২০২৩-২৪ অনুমোদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ইপিএফও-র সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টির (সিবিটি) শেষ বৈঠক ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বোর্ড তখন ৭ কোটিরও বেশি কর্মীদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ডে ৮.২৫ শতাংশ সুদের হার ঘোষণা করেছিল। আশা করা হচ্ছে, এবারও সুদ বাড়তে পারে কেন্দ্র সরকার। আসলে প্রভিডেন্ট ফান্ড একটি সেভিংস প্রকল্প যা কোনও ব্যক্তির অবসর গ্রহণের জন্য বোঝানো হয়। বেতনভোগী ব্যক্তিদের জন্য বাধ্যতামূলক। একটি নির্দিষ্ট ফান্ডে কর্মচারী ও নিয়োগকর্তা উভয়েরই নিয়মিত অবদান থাকে।
নতুন পেনশন ব্যবস্থা কীভাবে ইপিএফও-র ‘আধুনিকীকরণ’ করবে?
কেন্দ্রীয় পেনশন প্রদান ব্যবস্থার অর্থ হ’ল জাতীয় স্তরের কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে ইএফপিওকে “আধুনিকীকরণ” করা, যা ভারতের যে কোনও ব্যাংক, যে কোনও শাখার মাধ্যমে পেনশন বিতরণ করতে সক্ষম করবে। কেন্দ্রের আশা, এই ব্যবস্থার এই সংস্কারের ফলে ইপিএফও-র প্রায় ৮০ লক্ষ EPS পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। পেনশনভোগীরা অবস্থান বা ব্যাঙ্ক পরিবর্তন করলে পেনশন পেমেন্ট অর্ডার (পিপিও) স্থানান্তর না করেই সিপিপিএস সারা ভারত জুড়ে পেনশন পাঠানোর অনুমতি দেবে।
কেন্দ্রের মতে, “ইপিএফও-র চলমান আইটি আধুনিকীকরণ প্রকল্প সেন্ট্রালাইজড আইটি সক্ষম সিস্টেমের (সিআইটিইএস ২.০১) অংশ হিসাবে এই সুবিধাটি ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে চালু করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে, সিপিপিএস আধার-ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেমে (এবিপিএস) রূপান্তর করা হবে।”