পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বাজেট ২০২৫ এর আগেই প্রি বাজেট মিটিংয়ে ট্রেন ইউনিয়ানের তরফ থেকে বেশ কিছু দাবি রাখা হয়েছে। যার মধ্যে নূন্যতম EPFO পেনশন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে অষ্টম বেতন কমিশন গঠন ও ইনকাম ট্যাক্স ছাড়ের জন্য আয়ের সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানোর মত একাধিক প্রস্তাব রয়েছে। কী কী প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামানের সামনে? জানতে হলে আজকের প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
অর্থমন্ত্রী ও ট্রেড ইউনিয়ানের প্রি বাজেট মিটিং
বিগত সোমবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামানের উপস্থিতিতে প্রি বাজেট বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই একাধিক দাবি সামনে রক্ষা হয়। সেখানে ইপিএফও এর দ্বারা প্রদত্ত নূন্যতম পেনশন ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এরপর অষ্টম বেতন কমিশনের গঠনের পাশাপাশি ইনকাম ট্যাক্স ছাড়ের জন্য ১০ লাখের স্ল্যাব রাখার দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও গিগ ভিত্তিক কর্মীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য OPS পুনরায় চালুই করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
বাড়তে পারে ট্যাক্সের পরিমাণ
সোমবারের বৈঠকের পর ট্রেড ইউনিয়ান কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারি এস পি তিওয়ারি জানান, সরকার সম্ভবত সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ স্থগিত করে দিতে পারে। বদলে ধনী ব্যক্তিদের উপর অতিরিক্ত ২% ট্যাক্স চাপানো হতে পারে। যাতে সামাজিক সুরক্ষা মূলক প্রকল্পগুলিকে চালু রাখা যায়। এছাড়া কৃষিকাজের সাথে যুক্ত কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা ও নূন্যতম মজুরি স্থির করার জন্য প্রস্তাব রয়েছে।
৫ গুণ বাড়তে পারে নূন্যতম EPFO পেনশন
ভারতীয়ই মাজেদুর সংঘ এর সেক্রেটারি পবন কুমার জানান, EPS-95 এর আওতায় কর্মীদের নূন্যতম পেনশন ১০০০ টাকা থেকে বাড়ীয়ে ৫০০০ হাজার করে দেওয়া উচিত। এছাড়া ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ইনকাম ট্যাক্সের ছাড় দেওয়া উচিত। এছাড়া পেনশনের থেকে আসা আয় সম্পূর্ণ ট্যাক্স ফ্রি ঘোষণা করা উচিত। একইসাথে অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের মাধ্যমে সরকারি কর্মীদের দ্রুত বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করা উচিত।
দ্রুত অষ্টম পে কমিশন গঠন
সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ানের ন্যাশনাল সেক্রেটারি স্বদেশ দেব রায়ের মতে, সপ্তম বেতন কমিশনের গঠনের পর থেকে ১০ বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। তাই দ্রুত অষ্টম বেতন কমিশন গঠন করা উচিত। একইসাথে কমতে থাকা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সংখ্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। ১৯৮০ সালে যেখানে ২১ লক্ষ কর্মচারী ছিল সেখানে ২০২৩-২৪ এ মাত্র ৮ লক্ষ কর্মচারী রয়েছে। তাই আরও সরকারি নিয়োগ হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।