sওয়েতা মিত্র, কলকাতাঃ নতুন বছর পড়তে না পড়তেই একের পর এক দাবি নিয়ে সামনে আসছেন ইপিএফও-র (Employees’ Provident Fund Organisation) সদস্যরা। এবারও সেটার ব্যতিক্রম ঘটল না। তবে এবার EPFO-র সদস্যরা যে দাবি প্রকাশ্যে আনল তা শুনলে চমকে যেতে পারেন আপনিও। আসলে সকলে এবার পেনশনের টাকা বৃদ্ধি করার দাবি করেছে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এমনিতে বেসরকারী খাতে কর্মরত কর্মচারীরা সর্বদা খালি হাতেই ফেরেন। কারণ তাদের প্রতি ছয় মাস অন্তর মহার্ঘ ভাতা বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না। তবে জানা যাচ্ছে যে এখন বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের ভাগ্য বদলে যেতে পারে নতুন বছরে খবর। কেন্দ্রীয় সরকার খুব শীঘ্রই ইপিএফও-তে মূল বেতন বৃদ্ধির অনুমোদন দিতে চলেছে। এতে বেসরকারি খাতে কর্মরত কর্মীদের পেনশন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
৯০০০ টাকা অবধি ন্যুনতম পেনশনের দাবি
আসলে দীর্ঘদিন ধরে কর্মীরা পেনশনের টাকা ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক ধাক্কায় ৯০০০ টাকা করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। পেনশন প্রকল্পে ন্যূনতম মাসিক পেনশন ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০০০ টাকা করার দাবি জানাল কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। এই মর্মে গত সোমবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তাদের এক দফায় বাজেট বৈঠক অবধি হয়েছে। সেখানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো সংশোধনের জন্য অষ্টম বেতন কমিশন তৈরির দাবিও জানিয়েছে তারা।
এই বিষয়ে RSS-র শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের (বিএমএস) সাংগঠনিক সম্পাদক (উত্তরাঞ্চল) পবন কুমার বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় ন্যূনতম পেনশন বাড়ানো হোক। পরে তার সঙ্গে যুক্ত করা হোক পরিবর্তনশীল মহার্ঘ ভাতা।’ এমনিতে মূল্যবৃদ্ধির মারে সাধারণ গৃহস্থ পরিবারের সংসার একপ্রকার চলছে না। বিশেষ করে বেসরকারি খাতে যে সকল কর্মী চাকরি করেন তাঁদের অবস্থা দিনে দিনে করুণ হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি। এহেন অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাজেটে যাতে তাঁদের কথা ভাবনাচিন্তা করে পেনশনের টাকা যাতে বৃদ্ধি করা যায় সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্র কী দাবি মানবে?
বৈঠকের শেষে সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীকে বলেছি, আমরা প্রত্যেক বছর আপনার সঙ্গে বৈঠক করি। কিন্তু আপনি কোনও দাবি মানেন না। সৌজন্যের খাতিরেই আমরা বৈঠকে আসি।’ এখন এটাই দেখার যে সরকার কি পদক্ষেপ নেয়।
ইস্টবেঙ্গলের ধমকেই হল কাজ? অবশেষে ডার্বি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল মোহনবাগান