আজ ঘটবে বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য! গোলাপি হয়ে যাবে চাঁদ, ভারতে কখন দেখা যাবে?

Published on:

Pink Moon

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আপনি কি রাতের আকাশ নিয়ে খুব আগ্রহী? তাহলে আজকের দিনটি হতে চলেছে আপনার জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা। হ্যাঁ, ১৩ই এপ্রিল ভোরবেলা ভারতের আকাশে দেখা যাবে এক বিশেষ পূর্ণচন্দ্র, যার নাম পিংক মুন (Pink Moon)। যদিও চাঁদ আসলে গোলাপি হয় না, তবুও এরকম নামের পিছনে রয়েছে এক চমৎকার গল্প।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

তাহলে কেন বলা হচ্ছে পিংক মুন?

আসলে এই বিশেষ নামকরণ হয়েছে উত্তর আমেরিকার একটি ফুলের নাম থেকে। যে ফুলটির নাম ফ্লক্স সুবুলাটা (Phlox Subulata)। এপ্রিল মাসে এই গোলাপি রঙের ফুলগুলি ফোটে। আর সেই সময়টিকে স্মরণ করেই এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদকে বলা হয় পিংক মুন।

এই পিংক মুনকে আবার ‘পাসকাল মুন’ এবং ‘মাইক্রোমুন’ বলা হয়। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা ভালো, খ্রিস্টধর্মে ইস্টার উৎসবের তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই চাঁদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। 

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

এই চাঁদকে বিশেষ বলার পিছনে কারণ কী?

এই পূর্ণিমাটি আসলে একটি মাইক্রোমুন। অর্থাৎ, চাঁদ এই সময় পৃথিবীর সাথে সবথেকে সর্বাধিক দূরে অবস্থান করে। ভূগোলের ভাষায় একে অ্যাপোজিও বলা হয়। আর এই কারণেই চাঁদটিকে তুলনামূলক ভাবে কিছুটা ছোট এবং ফিকে দেখায়।

সূত্র বলছে, এর বিপরীতে যখন চাঁদ পৃথিবীর সবথেকে কাছাকাছি থাকে, তখন তাকে সুপারমুন বলা হয়, যখন চাঁদকে অপেক্ষাকৃত বড় এবং উজ্জ্বল দেখা যায়। যদিও একে পিংক মুন বলা হচ্ছে, কিন্তু আদতে চাঁদকে গোলাপি রঙের দেখাবে না। বরং আবহাওয়ার পরিস্থিতি এবং আলোর প্রতিফলনের কারণে কিছুটা লালচে বা কমলা ভাব দেখা যেতে পারে। 

কখন দেখা যাবে এই পিংক মুন?

বেশ কিছু সূত্র মারফত জানা গেল, ভারতে এই পিংক মুন দেখা যাবে ১৩ই এপ্রিল ভোর ৫টা থেকে এবং যুক্তরাষ্ট্রের এই পিংক মুন দেখা যাবে ১২ই এপ্রিল রাত ৮টা ২২ মিনিটে। এই চাঁদটিকে একদিন আগে এবং পরে পূর্ণিমার মত দেখাবে। তাই যারা মিস করতে চান না, তারা অবশ্যই ১৩ই এপ্রিল সন্ধ্যার পর আকাশের দিকে তাকিয়ে এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।

কোথা থেকে দেখা সব থেকে ভালো হবে?

বিজ্ঞানীরা বলছে, এই চাঁদ দেখার জন্য দূষণমুক্ত এলাকা, উঁচু পাহাড় বা মাঠের খোলা জায়গা সবথেকে পারফেক্ট অপশন। চাঁদ ওঠে পূর্ব দিকে। তাই সন্ধ্যার পর পূর্ব দিকে তাকালেই দেখতে পাবেন এই মনোরম দৃশ্য। যদি আপনি চাঁদের খাঁজ, ছায়া বা পৃষ্ঠের বিবরণ দেখতে চান, তাহলে বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ সিনিয়র সিটিজেনদের ছাড় বাতিল করেই ৫ বছরে ৮,৯১৩ কোটি টাকা তুলল রেল!

বিজ্ঞান কী বলছে এই পিংক মুন সম্পর্কে?

ফিসিক্স বলছে, আলো আসলে স্পেকট্রাম বা রঙের তরঙ্গ, যা লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, বেগুনি এবং আকাশি রং এর মিশ্রণ। যখন চাঁদের আলো পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে, তখন কিছুটা রং ছড়িয়ে যায়। আর কিছুটা রং পৌঁছে যায় আমাদের চোখে। আর এই কারণেই চাঁদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রঙের দেখায়। কখনো লাল, আবার কখনো কমলা, আবার কখনো নীলচে। এককথায় যারা নক্ষত্র, চাঁদ বা মহাকাশ নিয়ে কিছুটা কৌতুহলী, তাদের জন্য আজকের রাতটি হতে চলেছে অনন্য অভিজ্ঞতা।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য Join Group
চাকরির খবরের জন্য Join Hood Jobs
রাশিফলের জন্য Join Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group