প্রীতি পোদ্দার, মুর্শিদাবাদ: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই কোনও সময় নষ্ট না করে এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট প্রচারের প্রস্তুতি। মুখ্যমন্ত্রীর সিংহাসন দখল করার জন্য রীতিমত ইঁদুর দৌড়ে নেমেছে সকলে। এমতাবস্থায় ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চিত্র ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) শাসকদলে। সাগরদিঘির পর এবার রেজিনগরে জেলমুখী হল আরও এক তৃণমূল নেতা। আত্মসমর্পণ করলেন আদালতে।
পুনরায় ব্লক সভাপতি আসামিকে!
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বুধবার, রেজিনগর থানা এলাকার তৃণমূলের নেতা মাঞ্জুর সেখ বহরমপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। কিছুদিন আগেই তিনি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা-২ ব্লকের পূর্ব সভাপতি হিসেবে এবারও দায়িত্ব পান। এরপর শুরু হয় রাজনৈতিক তরজাও। স্থানীয় তৃণমূল সদস্যদের অভিযোগ মাঞ্জুর সেখ প্রায় ২ বছর পুলিশের খাতায় পলাতক হিসেবে ছিলেন এবং তিনি খুনের চেষ্টার মামলায় অভিযুক্ত। এত কিছুর পরেও কেন সেই ফেরারি আসামিকে ব্লক সভাপতি করা হল এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল ইসলাম। শুধু তাই নয় বিরোধীদের মুখে উঠে এসেছে একাধিক অভিযোগ।
বিতর্ক তৃণমূলের অন্দরেই
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় দুই ব্যক্তিকে বেধরক মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় মাঞ্জুর সেখের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলে নাকচ করে দেয় পুলিশ। এরপর বাধ্য হয়েই আদালতের দারস্থ হয় আক্রান্তের পরিবার। সেই ঘটনায় ২০২৩ এর ১৭ আগস্ট দায়ের হয় মামলা। সেই সময় এই মামলা থেকে জামিন পেতে হাইকোর্টে এবং পরে সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন করেন মাঞ্জুর সেখ। যদিও সেই আরাজি খারিজ হয়ে যায়। এদিকে তিনি ফের ব্লক সভাপতি হওয়ায় বিতর্ক বাধে তৃণমূলের অন্দরেই। অবশেষে বুধবার সিজিএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। সেখানে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: খরচ ৩.৩ লাখ! উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের দেওয়া টাকায় তৃণমূল নেতাদের দিঘা ভ্রমণ?
অন্যদিকে, পুলিশকে পেটানোর ঘটনায় গ্রেফতার করা হল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল নেতা গোলাম মোল্লাকে। ধৃত আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের অমরপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি গোলাম মোল্লার বাড়ি স্থানীয় বেলেমাঠ গ্রামে। এই ঘটনা আউশগ্রামের রাজনৈতিক মহলে বেশ হুলস্থুল ফেলে দিয়েছে।ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা তীর্যক কটাক্ষে বিঁধেছে শাসক দলকে। যদিও তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি দল। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আইন আইনের পথে চলবে।