প্রীতি পোদ্দার: ২০১৯ সালে জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির পর প্রথমবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর এই জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করেছিল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস। কিন্তু উপত্যকার ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ওমরের দল মোট ৪২টিতে জয়ী হয়। আর ৩২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কংগ্রেস জয়ী হয় মাত্র ছ’টি আসনে। যার ফলে এনসি এবং কংগ্রেসের মধ্যে নানা মতানৈক্যও দেখা দেয়। আর এই আবহেই এবার শ্রীনগরে অনুষ্ঠিত হল মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।
জম্মু কাশ্মীরের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান
আজ কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ওমর আবদুল্লা। শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী ওমরকে নিয়ে উপত্যকায় মোট ন’জন মন্ত্রী এবার শপথ নিলেন। এর আগে, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তদানীন্তন পূর্ণাঙ্গ রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ওমর। তবে তখন তা ছিল রাজ্য। আর এবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী পদে নথিভুক্ত হলেন ওমর। কিন্তু এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক আগেই ওমর সরকারে শামিল না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি কংগ্রেস হাল ছেড়ে দিল উপত্যকার।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাহুল গাঁধী, প্রিয়াঙ্কা গাঁধী!
আসলে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করলেও, ওমরের সরকারে শামিল হচ্ছে না কংগ্রেস। কারণ মাত্র ছয়টি আসনে জয়ী হয়েছ কংগ্রেস। তাই সেই সুবাদে ওমর চেয়েছিল উপত্যকায় মাত্র একজনকে মন্ত্রী করতে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে একদমই রাজি ছিল না কংগ্রেস। তাই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস। তবে স্পষ্টভাবে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে এনসি অর্থাৎ ন্যাশনাল কনফারেন্সের সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দেবে কংগ্রেস। তবে এদিন সরকারে শামিল না হলেও, ওমরের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে, রাহুল গাঁধী, প্রিয়াঙ্কা গাঁধী। I.N.D.I.A শিবিরের শরিক, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, DMK-র কে কানিমোঝি, প্রমুখ।
এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন জম্ম ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। ওমরের সঙ্গে উপত্যকার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সতীশ শর্মা, সাকিনা ইতু, জাভেদ দর, সুরেন্দ্র চৌধুরী, জাভেদ রানা। সুরেন্দ্র ওমরের ডেপুটি হিসেবেও দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। এবার দেখার পালা এই যে, নরেন্দ্র মোদির সরকারের কাছ থেকে উপত্যকা কেড়ে নেওয়ার পর সেখানকার মর্যাদা কতটা উদ্ধার করতে পারে ওমর আবদুল্লা।