বাকি আর মাত্র ৭ ম্যাচ, কীভাবে প্লে অফে উঠবে ইস্টবেঙ্গল? দেখুন নয়া সমীকরণ

Published on:

How will east bengal fc get to the playoffs with 7 matches? see the equation

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: কেরালা বধের পর হারের খরা কেটেছে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC)। চলতি ISL মরসুমের লাগাতার পরাজয় শেষ হয়েছে শুক্রবার। যার জেরে প্লে অফে ওঠার স্বপ্ন নতুন ভাবে দেখতে শুরু করেছে লাল হলুদ। তবে বাকি 7 ম্যাচে জিতেও কি প্লে অফে পা রাখা সম্ভব হবে? অঙ্কের বিচারে উত্তরটা হ্যাঁ হলেও পরবর্তী ম্যাচগুলিতে ধারাবাহিক জয়ের পাশাপাশি বিরোধী পক্ষের পয়েন্টের ওপর নির্ভর করতে হবে অস্কার ব্রুঁজোর দলকে। ফলত কঠিন রাস্তায় হাঁটতে চাইলেও দলের প্লে অফ সফর নিয়ে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নন লাল হলুদ কোচ।

আসন্ন ম্যাচগুলিতে জিততে পারলেই জিইয়ে থাকবে প্লে অফের আশা

WhatsApp Community Join Now

গত শুক্রবার ঘরের মাঠে চোট জর্জরিত দল নিয়ে কেরালার বিরুদ্ধে জোড়া গোলে দুর্দান্ত কামব্যাক করেছে ইস্টবেঙ্গল। ফলত, শেষের ম্যাচ গুলিতে একের পর এক পরাজয় দেখে হারাতে বসা আত্মবিশ্বাস আবারও নতুন করে জেগে উঠেছে লাল হলুদ শিবিরে। এবার সেই সাহসকে পুঁজি করেই আসন্ন ম্যাচগুলিতে আক্রমণ শানাবে ব্রুঁজোর ছেলেরা। তবে জার্নিটা যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে।

কেননা আগামী ম্যাচগুলির একটিতেও যদি পা ফসকায়, তবে প্লে অফের রাস্তা থেকে বহু দূরে ছিটকে যাবে ইস্টবেঙ্গল। অঙ্কের হিসেব বলছে, এখনও মুম্বই সিটি এফসি, চেন্নাইয়িন এফসি, মহমেডান স্পোর্টিং, হায়দরাবাদ এফসি, পাঞ্জাব এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি ও নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের মতো দলগুলির বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। কঠিন হলেও এই প্রত্যেকটি ম্যাচে জয় ছিনিয়ে পুরো পয়েন্ট ঘরে তুলতে হবে লাল হলুদ বাহিনীকে।

এটা ঠিক যে, বেঙ্গালুরু ও নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জয় পাওয়াটা অস্কারদের জন্য যথেষ্ট কঠিন তবে এই কাজ না করতে পারলে প্লে অফে ওঠার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে পিভি বিষ্ণুদের। বেশ কিছু রিপোর্ট মারফত খবর, আগামী 7 ম্যাচে অন্তত 15 পয়েন্ট তুলতে পারলেও প্লে অফের দৌঁড়ে টিকে থাকতে পারবে ইস্টবেঙ্গল। তবে পয়েন্টটা যদি আরও খানিকটা বেশি হয় সেক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা হবে অস্কারদেরই।

11 নম্বরে থেকে সুপার সিক্সে জায়গা পাওয়াটা কী আদৌ সম্ভব ?

নতুন বছরের শুরুটা পরাজয় দিয়ে করলেও শেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে লাল হলুদ। যার ফলে 17 ম্যাচে 17 পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় 11 নম্বরেই আটকে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। প্রশ্ন উঠছে, পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে আদৌ কী সুপার সিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে মশাল বাহিনী? এ প্রসঙ্গে লাল হলুদ কোচ অস্কারের উত্তর যথেষ্ট স্পষ্ট। ব্রুঁজো জানান, এখনও 7টি ম্যাচ বাকি রয়েছে। সুপার সিক্সে পৌঁছতে না পারলেও ভাল জায়গায় পৌঁছে শেষটা দুর্দান্ত ভাবে করতে চাই।

আনোয়ার আলি, সল ক্রেসপো, মহম্মদ রকিপ থেকে শুরু করে প্রভাত লাকরা চোটের কারণে এখন দলে নেই। নির্বাসন দেওয়া হয়েছে নন্দ কুমারকেও। এহেন আবহে ভাঙা দল(চোট জর্জরিত) নিয়ে ম্যাচ খেলাটা যথেষ্ট কঠিন হয়ে উঠেছে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে। তবে জটিল হলেও যে অসম্ভব নয় তা শুক্রবারের ম্যাচেই প্রমাণ করে দিয়েছেন অস্কার।

দীর্ঘ অনুশীলন ও ঘেরাটোপ পরিকল্পনার পরই বিরোধী পক্ষের সাপ্লাই লাইন কেটে দলকে ছন্দে ফিরিয়েছেন লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ। তবে প্লে অফ নিয়ে বর্তমানে খুব একটা আশাবাদী নন তিনি। অস্কার বলেন, আমি কোনও নামি কোচ নই। তবে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাটা আমার সব সময়ের সঙ্গী। সেটাই করছি।

অবশ্যই পড়ুন: বাবা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, সংসার চালাতেন ছেলেবেলার কোচ! তিলক বর্মার কাহিনী কাঁদিয়ে দেবে

ফের প্রবল তেজ নিয়ে জ্বলবে মশাল ?

শুক্রবার যুবভারতীর ময়দানে ভিন রাজ্যের ছেলেদের পরাজয়টা লাল হলুদের মুখের হাসি চওড়া করেছিল তো বটেই সেই সাথে বুকের বাঁ দিকে চেপে রাখা যন্ত্রণাতেও আলতো হাতে মলম লাগিয়ে দিয়েছিল। এদিন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের গলা ফাটানো চিৎকার ও লাল হলুদ যোদ্ধাদের উচ্ছসিত মেজাজ দেখে বোঝা গিয়েছিল চোটগ্রস্ত বাঘের ক্ষত ধীরে ধীরে সারছে। দীর্ঘ পরাজয়ের পর কেরালার ম্যাচ ছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে স্বপ্নের প্রথম সিঁড়ি। এদিন সেই সিঁড়িতে পা রেখেই লাল হলুদ কোচ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মশালের তেজ এখনও কমেনি। তা জ্বলছে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটকে সামনে রেখে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X