ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ আগামী ISL-র মরশুমে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব খেলতে পারবে কি না, সেই নিয়ে আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছিল। অবশেষে সেই মেঘ কাটল। খোদ সৌরভ গাঙ্গুলির তৎপরতায় এবার মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে মহামেডানও আইএসএলে খেলবে। এই খবর প্রকাশ্যে আসায় ক্লাব সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে।
ISL-এ যোগ্যতা অর্জন মহামেডানের
আসলে, ISL খেলতে লাগে অনেক টাকা। বর্তমানে ভারতের শীর্ষ টুর্নামেন্টই হল এই লিগ। আর সেই টাকা মহামেডানের নেই। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও টাকার কারণে ISL থেকে পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল মোহামেডানকে। কিন্তু এখন আর কোনও সমস্যা নেই। কারণ খোদ মহারাজ নিজের কথা রেখে ভারতের শীর্ষ লিগে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে মোহামেডানকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ISL ময়দানের দুই প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান খেলে। তাঁদের কাছে রয়েছে বড় স্পনসর ও ইনভেস্টর। আর এর জেরেই তাঁরা ভালো ভালো দেশ, বিদেশের ফুটবলারকে দলে নিতে পারে। ISL-এ মোহনবাগান ধারাবাহিক ভাবে সফল হয়ে আসছে, এদিকে গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গলও দুর্দান্ত পারফর্ম করে দেখিয়েছে। তবে এবার শুধু এই দুই ক্লাবই নয়, এবার মহামেডান ISL-এ মাঠ কাঁপানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আসলে ISL-এ যোগ্যতা অর্জন করেই সৌরভের দ্বারস্থ হয়েছিল মহামেডান ক্লাবের কর্তারা। সেই সময় সৌরভ বিষয়টা দেখবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। এরপর তিনি একটি জার্মান সংস্থার সাথে মহামেডানকে স্পনসর করার জন্য কথাবার্তা চালান। সৌরভের তৎপরতায় বর্তমানে মহামেডানের স্পনসরশিপ কাঁটা সরল। বর্তমানে শাচী গ্রুপের সাথে মৌ স্বাক্ষর হয়েছে মহামেডানের।
সৌরভকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মহামেডানের
এই চুক্তির পরেই ক্লাব কর্তারা সৌরভের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে একটি বিবৃতি জারি করেছেন। সাদা-কালো ব্রিগেডের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, শাচী গ্রুপের সাথে আগামী দুই মরসুমের জন্য মহামেডান ক্লাবের চুক্তি হয়েছে। দুই বছর তাঁরা ক্লাবকে ৩৫ কোটি করে দেবে। সংস্থার প্রধান রাহুল তোডি ক্লাব কর্তাদের এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্লাবের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, আগামী ISL মরসুমে দল ভালো খেলবে বলে আশাবাদী আমরা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিঃস্বার্থ ভাবে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই। উল্লেখ্য, শুধু শাচী গ্রুপই নয়, বাঙ্কারহিলও মহামেডানের স্পনসর তালিকায় রয়েছে। এর ফলে এবারের আইএসএলে তাঁরা যে শক্তিশালী দল গড়তে পারবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।