প্রীতি পোদ্দার: নভেম্বর সকাল যেন হালকা হিমের পরশ। খুব বেশি গরমও না আবার খুব বেশি ঠান্ডাও নয়। ভোরে কুয়াশার চাদরে গোটা এলাকা যখন আবৃত থাকে, একটু বেলা বাড়তেই তার উপস্থিতি আর থাকে না ৷ বিকেল বা সন্ধ্যায় ফের হালকা ঠান্ডার আমেজ। তাই এখনও শীতের আমেজ সেভাবে মালুম হচ্ছে না। কারণ রাতের তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য পতনের ইঙ্গিত নেই । প্রশ্ন একটাই কবে পরিবর্তন হবে আবহাওয়ার?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর এর তরফ থেকে জানা গিয়েছে, বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে আর কিছুদিন পর থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রার পারদ ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হওয়ার প্রবণতা বাড়তে চলেছে। প্রায় ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। আপাতত রাতে ও ভোরের দিকে হালকা হিমের পরশ অনুভূত হবে। উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করতে চলেছে। দিনের বেলায় মনোরম শুষ্ক আবহাওয়ায় থাকবে। এবং পরিবেশ অনুকূল থাকবে। তেমনই পশ্চিমের জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও নিম্নমুখী হবে। শীতের আমেজ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই অনুভূত হবে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
আজ দক্ষিণবঙ্গ সহ কলকাতার আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে পরিষ্কার আকাশ দেখা যাবে। পরশু থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। এক দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ও ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে নামতে পারে। আশা করা যাচ্ছে সপ্তাহের শেষে ১৯ এর নীচে নামতে পারে কলকাতার রাতের তাপমাত্রা। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫০ থেকে ৯৪ শতাংশ।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
আজ উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং এবং কালিম্পং এ হালকা বৃষ্টি চলবে। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। আজ থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এই দুই জেলায়। পার্বত্য এই দুই জেলায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা থাকলেও বাকি উত্তরবঙ্গের কোন জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে সকালের দিকে নিচের জেলা মালদা ও দুই দিনাজপুরে কুয়াশার সম্ভাবনা থাকবে। এবং শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে।