ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। গোটা দেশজুড়ে চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। একই সঙ্গে ১৭ অগাস্ট সকাল থেকে ১৮ অগাস্ট সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সব মিলিয়ে পরিচিতি এখন উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। তবে অন্যদিকে ‘তিলোত্তমা’-কাণ্ডে এবার বাংলার একের পর এক পুজো সংগঠনগুলি বড় সিদ্ধান্ত নিল। দুর্গাপুজোর অনুদানের টাকা রাজ্যকে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বহু পুজো সংগঠনগুলি।
বড় সিদ্ধান্ত পুজো সংগঠনগুলির
মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সমগ্র বাংলার তথা দেশ উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে জায়গায় জায়গায় চলছে তুমুল বিক্ষোভ। অন্যদিকে জুনিয়র থেকে শুরু করে সিনিয়র ডাক্তার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন দেশজুড়ে। এদিকে চিকিৎসা করাতে এসে বহু রোগীকে রীতিমতো খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে। যাইহোক এবার এই ঘটনায় বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল বাংলার বহু পুজো সংগঠনগুলি। আর পুজো সংগঠনগুলির এহেন সিদ্ধান্তকে রীতিমতো কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। বহু পুজো সংগঠনগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আরজি করের প্রতিবাদের জন্য বহু পুজো সংগঠন সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কথা প্রথম জানিয়েছে উত্তরপাড়ার শক্তি সংঘ ক্লাব। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। পুজো কমিটির বক্তব্য, ‘মেয়ের বিচার দিন, মায়ের পুজো নিজেরা বুঝে নেবো।’
কড়া সমালোচনা কুণাল ঘোষের
এদিকে পুজো কমিটিগুলির এহেন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘পুজো একটা অর্থনীতি। সেই অর্থনীতিকে সচল রাখতেই মুখ্যমন্ত্রীর ওই অনুদান ঘোষণা। যদি আপনারা তা প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে পুজোর সঙ্গে জড়িত সকলকে সাহায্য করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা একটা ক্যাম্পেন, বীরত্ব দেখানোর। আপনাদের অনেক টাকা আছে, তাই নিচ্ছেন না, ভালো। কিন্তু এই যে আবেগের চিমটি কাটা কথাবার্তা, আসল দুর্গাদের নিরাপত্তা বাড়ান, ৮৫ হাজার টাকা নয়। বাংলায় আসল দুর্গারা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ । যাঁরা ৮৫ হাজার টাকা নিচ্ছেন না, তাঁদের বলি, পুজো একটা অর্থনীতি কুমোরটুলির মায়েরা অপেক্ষা করে থাকেন, কবে শরৎকাল আসবে। ডেকরেটর্স, আলো, প্রতিমাশিল্পী, ফুলচাষি, কুটিরশিল্প – এই সকলের কাছে যাতে টাকা পৌঁছয়, শ্রমজীবী মানুষ যাতে হাতে টাকা পান, তার জন্য ৮৫ হাজার টাকা দেওয়া। যাঁরা বয়কট করছেন, তাঁরা যেন গরিব মানুষের কাছে সেই টাকা পৌঁছে দিয়ে আসেন। এই টাকা যাতে পুজো অর্থনীতিতে সঞ্চালিত হয়, তার জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায় ৮৫ হাজার টাকা দিচ্ছেন।’