শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: লক্ষ্মীর ভান্ডার… (Lakshmir Bhandar) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক সুপারহিট প্রকল্প। বিগত কয়েক বছর ধরে একের পর এক প্রকল্প চালিয়ে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে যার মধ্যে সবথেকে বেশি হিট হয়েছে এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে বাংলার মা-বোনেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা করে পাঠানো হয়। তবে এবার এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়েই প্রকাশ্যে উঠে এলো চঞ্চল্যকর তথ্য। আপনারও কি ব্যাঙ্কে প্রতি মাসে টাকা ঢোকে? তাহলে আজকে এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য
আসলে “লক্ষ্মীর ভান্ডার” প্রকল্পটি সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক চালু করা একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম। ২৫৬০ বছর বয়সী এবং ‘স্বাস্থ্যসাথী’তে তালিকাভুক্ত মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য, মহিলা এসসি / এসটি পরিবারগুলিতে প্রতি মাসে ১২০০ টাকা এবং অন্যান্য সুবিধাভোগীদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পের লক্ষ্য মহিলাদের ক্ষমতায়ন করা এবং প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবা কেনার জন্য এককালীন অনুদান প্রদানের মাধ্যমে তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা। তবে বিগত কিছু সময় ধরে অভিযোগ উঠছে, অনেকেরই নাকি এই তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ছে। আর এর কারণ জানলে চমকে উঠবেন আপনিও।
নাম বাদ পড়ছে অনেকের
নাম বাদ পড়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। যেমন ভুয়ো নথিপত্র জমা দেওয়া, একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার, বয়স সংক্রান্ত অনিয়ম, জয়েন্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার, অসম্পূর্ণ KYC ইত্যাদি। তবে ভয় পাবেন না, সঠিকভাবে সবকিছু জমা দিলে আবার আপনার নাম কাটা হবে না। যেমন বলা হচ্ছে, সঠিক নথি জমা দিলে, নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে, কেওয়াইসি আপডেট রাখলে আপনার কাজ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ হাওড়ায় ভেঙে ফেলা হবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ, বড় সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের
এই ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রামের অধীনে, একটি নির্দিষ্ট বয়সের মহিলারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য প্রতি মাসে টাকা পান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর জন্য দেড় কোটিরও বেশি আবেদন পেয়েছে, এটি রাজ্যের অত্যন্ত সফল উদ্যোগগুলির মধ্যে একটি। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল পরিবারের মহিলা প্রধানদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তহবিল সরবরাহ করা যাতে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়। পশ্চিমবঙ্গের একটি পরিবারের গড় মাসিক খরচের কথা বিবেচনা করে এই উদ্যোগে পরিবারগুলিকে দেওয়ার জন্য একটি পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি নিশ্চিত করবে যে তারা তাদের দৈনন্দিন মৌলিক ক্রিয়াকলাপগুলি সামর্থ্য করতে পারে।