শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ বড় জয় হল ডাক্তারদের। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বাংলা। এই ঘটনার প্রতিবাদে ধৰ্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নেয় একের পর এক চিকিৎসক সংগঠন। যদিও রাজ্য এই ব্যাপারে আপত্তি জানায়। তবে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সেই আপত্তিকে উড়িয়ে ধর্নায় অনুমতি দিল। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স (JPD)-কে ধর্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। যদিও রয়েছে কিছু শর্ত। কী সেই শর্ত? জেনে নিন ঝটপট।
বড় রায় আদালতের
গতকালই চৌরঙ্গী রোডে আরজি কর ইস্যুতে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির জন্য জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর আবেদনে মৌখিক সম্মতি দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মৌখিক নির্দেশ দিয়ে জেপিডি ও রাজ্যের আইনজীবীদের আন্দোলনের জন্য ঘিরে ফেলা এলাকার আয়তন নিয়ে আলোচনা করতে বলেন। বড়দিন-নববর্ষের মরশুমে সম্ভাব্য যানজটের কারণ দেখিয়ে এসপ্ল্যানেডের ডোরিনা মোড়ে অবস্থান ধর্মঘটের অনুমতি না দেওয়ায় মেট্রো চ্যানেলে অবস্থান ধর্মঘটের অনুমতি চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছিল জেপিডি। জেপিডি সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা অবস্থান ধর্মঘটের জন্য মেট্রো চ্যানেলে একটি মঞ্চ তৈরি করবেন। অবশেষে আজ শুক্রবার শেষমেষ সেই অনুমতি দিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর বোসের এজলাস। যদিও রয়েছে কিছু শর্ত।
শর্তগুলি কী কী?
১) ডোরিনা ক্রসিং থেকে ৫০ ফুট ছেড়ে মঞ্চে তৈরী করতে হবে।
২) ধর্নার মঞ্চ হবে ৪০ ফুট লম্বা এবং ২৩ ফুট চওড়া। সামনে থাকবে পুলিশের ব্যারিকেড।
৩) এই ধর্না চলাকালীন ২০০ থেকে ২৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না।
৪) কোনো সময়ে বেশি লোকের জমায়েত হলে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। ২৬ ডিসেম্বর অবধি ধর্না কর্মসূচি চলবে।
৫) ধর্নাস্থল থেকে কারো উদ্দেশে অবমাননাকর মন্তব্য করা যাবে না। উৎসবের মরশুমে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, এমন কিছু করা যাবে না।