বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থায় এবার আমূল পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। ইতিমধ্যে এসএসসি দুর্নীতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম বাংলা। বিশ বাঁও জলে রয়েছে হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি। এদিকে স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের ঘাটতি দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে আর চিন্তা নেই, আসতে চলেছে আমূল পরিবর্তন।
স্কুলে পড়াবেন কলেজের শিক্ষকরা
এবার শোনা যাচ্ছে, নাকি স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘাটতির কথা মাথায় রেখে নাকি আসরে নামানো হতে পারে কলেজের প্রফেসারদের। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। জানা যাচ্ছে, নাকি শিক্ষকের ঘাটতি মেটাতে স্কুলে পড়াবেন কলেজের শিক্ষকরাও। আর এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
ক্লাস্টার মডেল আনা হল
যেহেতু বহুদিন হয়ে গেল রাজ্যের স্কুলগুলিতে কোনও নিয়োগ হয়নি সেজন্য স্কুলে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেখা নেই কোনওরকম। অভাবে ধুঁকছে স্কুলগুলি। পড়ুয়াদের পঠন পাঠনেও যার বিরাট প্রভাব পড়ছে। ফলে এবার ‘ক্লাস্টার মডেল’ অনুযায়ী, স্কুলগুলিতে অন্যান্য স্কুল সেইসঙ্গে কলেজের শিক্ষকরাও ক্লাস করাবেন। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে এই নয়া নিয়ম আসছে বলে খবর। এই বিষয়টি নিয়ে গ্রিন সিগনাল দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
কী বলছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ
এই নয়া নিয়ম প্রসঙ্গে বড় তথ্য দিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “ছাত্র এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার স্বার্থে ক্লাস্টার মডেলে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। যে সমস্ত স্কুলের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে, তারা আশপাশের স্কুল বা কলেজ থেকে শিক্ষক নিতে পারেন। তবে স্থায়ী শিক্ষক হতে হবে।”
স্কুলগুলিতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের অভাব বিরাট রয়েছে। আর এই অভাব মেটাতেই বড় উদ্যোগ নিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ক্লাস গ্রহণের জন্য পাশের স্কুলে যেতে পারেন অথবা তিন-চারটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে বিষয়ভিত্তিক ক্লাস করাতে পারবেন শিক্ষকরা। কলেজ শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য হবে যারা এই মডেলে যোগ দেবেন। কাউন্সিল সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করেছে যা ২০২৪-২৫ থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর হবে, এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য এটি ২০২৫-২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে। সেক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য হবে।