প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সকাল সকাল তখনও ঘুম কাটেনি রাজ্যবাসীর। আর এর মাঝেই কেঁপে উঠল গোটা কলকাতা। শুধু কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় কম্পন (Earthquake) অনুভূত হল মঙ্গলবার সকালে। যদিও এর উৎসস্থল কলকাতার অদূরেই। কেঁপে উঠল বাংলাদেশও।
ভূমিকম্পের উৎসস্থল
জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ নাগাদ ভূকম্পন অনুভূত হয়। যার উৎসস্থল বঙ্গোপসাগরের ৯১ কিলোমিটার গভীরে। জানা যাচ্ছে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এবং উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে কম্পন অনূভূত হয়েছে আর এই কম্পন অনুভূত ছবি প্রকাশ্যে এনেছে জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র। ওড়িশা থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পূর্বে সমুদ্রে ওই কম্পনের উৎসস্থল বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে কলকাতা থেকে কম্পনস্থলের উৎসস্থল এর দূরত্ব ৩৩০ কিলোমিটার।
জানুয়ারিতেও কেঁপে উঠেছিল কলকাতা
এছাড়াও প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, কাঁথি, দিঘায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশেও ঢাকা-সহ পশ্চিম প্রান্তের উপকূলের কিছু অঞ্চলে কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর শিরোনামে উঠে আসেনি। কিছু দিন আগে জানুয়ারি মাসে ভোরবেলা কেঁপে উঠেছিল কলকাতা-সহ গোটা দেশ। সেই বার উৎসস্থল ছিল নেপালে। সেবার রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.১। এবং নেপালের গোকর্ণেশ্বরের কাছে লোবুচে থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। কম্পন টের পাওয়া গিয়েছিল ভারত, নেপাল, বাংলাদেশের সঙ্গে চিন, ভুটানেও।
আরও পড়ুনঃ যাত্রী হারাবে কলকাতা মেট্রো! যোগাযোগের অভাবেই মুখ থুবড়ে পড়েছে একাধিক পরিকল্পনা
আবার সেই কম্পনের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই গত সপ্তাহেই দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। মাটি থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীর ছিল ভূকম্পনের কেন্দ্রস্থল। আজকের ভূমিকম্প নিয়ে এখনও পর্যন্ত সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। কলকাতায় সেভাবে ভূমিকম্প না হলেও কলকাতার আশপাশে একাধিক ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।