আজই ফয়সলা! সরকারি কর্মীদের জন্য দারুণ পদক্ষেপ, হাইপাওয়ার্ড কমিটির বৈঠক বসছে নবান্নে

Published on:

nabanna

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: DA নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে একের পর এক ক্ষোভ, অভিযোগ উঠেই আসছে। যেখানে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার, তাঁদের অধীনে থাকা কর্মীদের ৫৩ শতাংশ হারে DA বা মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গের সরকারী কর্মীরা পাচ্ছে মাত্র ১৪ শতাংশ DA বা মহার্ঘ ভাতা। ৩৯ শতাংশ DA ফারাক দেখা গিয়েছে। এই আবহে তাইতো সমকেন্দ্রিয় হারে DA পাওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একের পর এক মামলা চলছে। কিন্তু তাতেও দমছে না রাজ্য সরকার। এদিকে আবার সরকারি কর্মীদের মধ্যে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্যের পরিস্থিতির তৈরি গিয়েছে।

নবান্নে আজ জরুরি বৈঠকের আয়োজন

WhatsApp Community Join Now

বেশ কয়েকদিন ধরে নবান্নে বারংবার অভিযোগ উঠছে সরকারী কর্মীদের পদোন্নতির বিষয় নিয়ে। জানা যাচ্ছে নবান্ন–সহ রাজ্যের নানা সেক্রেটারিয়েট বা সচিবালয়ের কর্মীরা সবসময়ই বাড়তি সুযোগ–সুবিধে পেয়ে থাকেন। এমনকী পদোন্নতির ক্ষেত্রেও তাঁরাই অগ্রাধিকার পান। সেটা অন্যান্য সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে সমান হয় না। তৈরি হচ্ছে বৈষম্যতা। আর এবার সেই বৈষম্যতা দূর করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এবং সরকারি কর্মীদের কাজে উৎসাহ ফিরিয়ে নিতে আসার জন্য তৈরি করা হল কমিটি। এবং আজই এই বিষয়ে বড় বৈঠক ডাকা হয়েছে নবান্নে।

আসলে রাজ্য প্রশাসন চলে তিনটি ধাপে। সবার উপরে থাকে সেক্রেটারিয়েট। দ্বিতীয়তে থাকে ডিরেক্টরেট এবং তৃতীয় ধাপে থাকে রিজিওনাল অফিস। সবথেকে বেশি সুযোগ–সুবিধা প্যান সেক্রেটারিয়েট এর কর্মীরা। পাশাপাশি কর্মীদের পদোন্নতির সুযোগও অনেক বেশি থাকে। এই বিভাগে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক কর্মসূত্রে পদোন্নতি পেয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, ডেপুটি সেক্রেটারি, জয়েন্ট সেক্রেটারি, স্পেশ্যাল সেক্রেটারি পর্যন্ত হতে পারেন। কিন্তু ডিরেক্টরেট বা রিজিওনাল অফিসের ক্ষেত্রে এই সুবিধা থাকে না। শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স থাকা সত্ত্বেও ডিরেক্টরেট ও রিজিওনাল অফিসের কর্মীরা প্রোমোশনের সুযোগ পায় না। এবার সেই বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে চলেছে হাইপাওয়ার্ড কমিটি।

হাইপাওয়ার্ড কমিটি গঠন

সরকারি সূত্রের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, আজকের এই জরুরি বৈঠকে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে চেয়ারম্যান করে হাইপাওয়ার্ড কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। এবং এই কমিটির কো–চেয়ারম্যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু হবেন। এ ছাড়াও অর্থ এবং পার্সোনেল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত সচিব, পূর্ত দপ্তরের যুগ্ম সচিব এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের এক যুগ্ম অধিকর্তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে, রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনেরর প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তী জানান, “সেক্রেটারিয়েট এবং ডিরেক্টরেট ও রিজিওনাল অফিসের কর্মীদের মধ্যে বৈষম্য দূর করার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছি। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে। সরকার দেরিতে হলেও এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করায় আমরা অনেকটাই খুশি। আশা রাখছি আমাদের জন্য ভালো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

সঙ্গে থাকুন ➥
X