মাধ্যমিকের পর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলও বেরিয়ে গেল শেষমেষ। পূর্ব নির্ধারিত সময় মতো বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ঘোষণা করা হয় উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। সেইসঙ্গে মেধাতালিকাও প্রকাশ করা হয়। আর এই মেধা তালিকা ঘোষণা হতেই দাস পরিবারে খুশির বন্যা বয়ে যেতে থাকে। চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থানা অধিকার করেছে আলিপুরদুয়ার ম্যাকউইলিয়াম হাই স্কুলের ছাত্র অভীক দাস।
জানা গিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হল ৪৯৬। আর পাঁচটা পড়ুয়ার মতো তাঁর চোখেও অনেক স্বপ্ন রয়েছে। বড় হয়ে সে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে চর্চা করতে চায় বলে জানিয়েছে। তাঁর সাফ সাফ কথা, ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই’। সচরাচর এমন বিষয় নিয়ে কাউকে চর্চা করতে শোনা যায় না। কিন্তু অভীক সকলের থেকে এক ধাপ এগিয়ে একটু আলাদা পথে হাটতে চায়। আগামী দিনে অভীক বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স বা কলকাতার আইআইএসইআর-এ পড়াশোনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
অভীকের অন্যতম পছন্দের বিষয় হল বই পড়া। সে পড়ার ফাঁকে সুযোগ পেলেই গল্পের বই পড়ে। উচ্চ মাধ্যমিক এত ভালো নম্বর পাওয়ার সিক্রেট কী? এই বিষয়ে সে জানায়, ‘পড়াশোনাকে ভালবেসে করেছি, খুঁটিয়ে পড়েছি প্রতিটি বই। নম্বরের পিছনে ছুটিনি। বুঝে বুঝে পড়েছি। মক টেস্ট পেপার সলভ করতাম’। অভীকের বাবা আলিপুরদুয়ার জংশন রেলওয়ে হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষক প্রবীর দাস, মা শ্যামলী গৃহবধূ। ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো সে।
জানা যায়, সে দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা পড়াশোনা করত। তবে অদূর ভবিষ্যতে সে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে কিছু করতে চায়। কারণ তাঁর বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড নিয়ে কৌতূহল অনেক। আর সেই কৌতূহল থেকে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে কিছু করে ভারতের নাম উজ্জ্বল করতে চায় উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হওয়া অভীক।এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে অভীকের প্রাপ্ত নম্বর কত সব বিষয়ে? তাহলে জানিয়ে রাখি, বাংলা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও বায়ো সায়েন্সে ১০০-র মধ্যে ৯৯ পেয়েছে সে। ইংরেজিতে ১০০-র মধ্যে ৯৩ পেয়েছে।