প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: খবরের পাতা খুললেই কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনার খবর ঠিক ভেসে আসে। এমনকি উড়ালপুলেও দুর্ঘটনার খবর উঠে আসে কম বেশি। যার মধ্যে অন্যতম হল মা উড়ালপুল (Maa Flyover)। এখানে প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। তার উপর আবার মাঝে মধ্যে এখানে মাঝ রাস্তায় গাড়ি খারাপ হওয়ার ঘটনাও দেখা যায়। যার ফলে এই খারাপ হয়ে যাওয়া গাড়ির জন্য বাকি গাড়িগুলি যানজট এর মুখে পড়ে। একাধিক সমস্যা যেন লেগেই রয়েছে। তাই এবার সেই সমস্যা দুই করতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে লালবাজার থানা।
সমস্যা দূর করতে এগিয়ে এল লালবাজার
সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে চালু হয়েছিল মা উড়ালপুল। চার লেনের এই উড়ালপুল সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড় থেকে শুরু হয়ে ইএম বাইপাসের দুই প্রান্তে এসে শেষ হয়েছে। ইএম বাইপাসে ধাপা এবং আম্বেডকর সেতুর দিক থেকে এই উড়ালপুলে ওঠা এবং নামা যায়। আবার, পার্ক সার্কাসে দু’টি লিঙ্ক র্যাম্প এ জে সি বসু উড়ালপুলের সঙ্গে মা উড়ালপুলকে যুক্ত করেছে। প্রচুর গাড়ি এই উড়ালপুল এর মাধ্যমে যাতায়াত করে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কড়াকড়ি করা হলেও দুর্ঘটনার সংখ্যা কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না। আর এই দুর্ঘটনার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণদের।
দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ি সরাতে নয়া উদ্যোগ
এমনিতেই উড়ালপুলে পরিস্থিতি সামাল দিতে উড়ালপুলের দুই জায়গায় ছোট রেকার রাখার পাশাপাশি কোনও গাড়ি খারাপ হলে সেটিকে দ্রুত সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য ১০ জনের বেশি ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী এবং তাঁদের জন্য ছ’টি কিয়স্ক রাখা আছে। আর এই কিয়স্ক এর মাধ্যমেই তাঁরা দিনের ব্যস্ত সময়ে উড়ালপুল দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের উপরে নজর রাখেন। কিন্তু দুর্ঘটনায় পড়া বা খারাপ হয়ে যাওয়া গাড়ি ক্রেন দিয়ে নামাতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই খারাপ হওয়া বা দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি সরিয়ে যাতে সাময়িক ভাবে যান চলাচল করানো যায়, তার জন্যই নয়া আটটি ডেক তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে লালবাজারের তরফ থেকে।
কিছুদিন আগে এই আটটি ডেক তৈরি করার জায়গায় তদারকি করতে গিয়েছিল কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এর কর্মী এবং লালবাজার পুলিশ কর্তারা। গোটা বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা করা হয়। এই প্রসঙ্গে এক পুলিশকর্তা জানান, উড়ালপুলে ওই আটটি ডেক ছাড়াও কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের জন্য শৌচাগার তৈরি করারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যাতে তাঁদের বার বার উড়ালপুল থেকে নামতে না হয়। এবার দেখার পালা কতদিন লাগবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে। আর এই পরিকল্পনার মাঝে এবার চিন্তা বাড়ছে যে এই কাজের জন্য আবার যেন উড়ালপুল বন্ধ না হয়ে যায়।