প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকা বড়ই অনিশ্চিত। হঠাৎ করে কখন কী হয়ে যায়, তা আগে থেকে কেউ কিছু বলতে পারে না। আর এই অনিশ্চয়তার মাঝেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সুষ্ঠ চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় স্বাস্থ্যবিমা বা মেডিক্লেম (Mediclaim)। কিন্তু এই মেডিক্লেম নিয়ে আগা গোড়াই একাধিক অভিযোগ করে আসছেন রোগীরা। আর সেই কারণে অনেকেই স্বাস্থ্য বিমার প্রতি অনাগ্রহী হয়ে উঠছে। তাই এবার রোগীদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুবিধা প্রদান করতে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডে কেয়ার সার্জারি’ র ক্ষেত্রে বড় সুবিধা
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ সোমবার, স্বাস্থ্যবিমা সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। আর এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য কমিশনের সদস্য ডা. মাখনলাল সাহা, বিনোদ কুমার, সচিব আরশাদ হুসেন ওয়ারসি, ডা. মৈত্রেয়ী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১১ বিমা সংস্থার কর্তারা। এছাড়াও এই বৈঠকে হাজির ছিলেন টিপিএ অর্থাৎ থার্ড পার্টি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। জানা গিয়েছে এখন থেকে আধ ঘণ্টা অপারেশন হোক কিংবা ছোটো অপারেশন যেগুলো দিনের দিন রোগীকে ছুটি দেওয়া যায় অর্থাৎ ‘ডে কেয়ার সার্জারি’ র ক্ষেত্রে এখন জন্যেও মিলবে মেডিক্লেম বা স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা। সোজা কথায় চোখের ছানি কাটা, চোখের মণি থেকে ‘ফরেন বডি’ রিমুভাল, পাইলস অস্ত্রোপচার, জিভের কোনও কাঁটাছেড়া, এগুলো সবই করতে গেলে মিলবে মেডিক্লেম।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এতদিন ধরে এই ডে কেয়ার সার্জারির ক্ষেত্রে একটা অস্বচ্ছ ব্যবস্থা ছিল। স্বাস্থ্যবিমার কোনো সুযোগ পাওয়া যেত না এই ক্ষেত্রে। যে কারণে কিছু বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তারবাবুকে দিয়ে অ্যাডমিশনের দরকার বলে জোর করে রোগীকে ভর্তি করানো হত। এবং স্বাস্থ্যবিমা সংস্থাকে দেখিয়ে দু’দিনের বিল করে দিত বেসরকারি হাসপাতাল। তাই এই অস্বচ্ছতা দূর করতে আজকের বৈঠকে বিমা সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এখন থেকে ডে কেয়ার সার্জারিও তারা স্বাস্থ্যবিমার মধ্যে আনছে।”
কনসিউমেবেল আইটেম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
এছাড়াও ছোট খাটো সরঞ্জাম যেমন গজ-তুলো, মাস্ক, সার্জিকাল গ্লাভস, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, এসবই ‘কনসিউমেবেল আইটেম।’ এতদিন এই ধরনের জিনিসকে বিমায় নন মেডিক্যাল আইটেম বলে গণ্য করা হত। যার জন্য এগুলোর খরচ দিত না অধিকাংশ বিমা সংস্থা। সেক্ষেত্রে রোগীর তরফ থেকে বড় অঙ্কের টাকা ধার্য করা হয়। তবে এবার সেটি হবে না। এখন থেকে বীমা সংস্থা এই ‘কনসিউমেবেল আইটেম’ কেও মেডিক্লেমের আওতায় নিয়ে আনছে। শুধু তাই নয় এদিন মেডিক্লেমের বিল নিয়েও একাধিক আলোচনা করা হয়েছে বৈঠকে।
আরও পড়ুনঃ আর কত? হারের যন্ত্রণা সামলাতে না পেরে অবসর নিলেন ইস্টবেঙ্গল তারকা
ঘণ্টার পর ঘন্টা আটকে রাখা হবে না রোগীকে!
মেডিক্লেমের বিল প্রসঙ্গে এদিন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে, মেডিক্লেমের বিল বিমা সংস্থা মেটাতে দেরি করলেও তার জন্য ছুটি হয়ে যাওয়া রোগীকে হাসপাতালে আটকে রাখা যাবে না। কিন্তু সেক্ষেত্রে বিল মেটাতে দেরি হওয়া নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের যুক্তি, “ আমরা চেষ্টা করি দুই ঘন্টার মধ্যে সমস্ত অ্যাপ্রুভাল করা কিন্তু রোগীদের পরিবার ঠিকমতো সমস্ত ডকুমেন্ট আপডেট করেন না। তাতেই রোগী ছাড়তেদেরি হয়।” সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কমিশনের কড়া নির্দেশ দেন যে সেক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল-বিমা সংস্থা নিজেরা আলোচনা করে মিটমাট করে নিতে হবে। কোনও ভাবেই যেন রোগীকে আটকে রাখা না হয়।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |