প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বিহারে সম্প্রতি SIR বা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা করার পর তালিকা থেকে বাদ গেছে লক্ষাধিক মানুষের নাম। আর তাই নিয়ে রাজনৈতিক অন্দরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। বিহারের পর এবার পালা বাংলায়। কিন্তু প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় নিয়ে তীব্র বিরোধীতা করে চলেছেন। এমতাবস্থায় SIR কে (Special Intensive Revision) ঘিরে এবার জেলাতেও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা যার দরুন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দাবি করল বিএলও-রা।
BLO-দের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!
SIR বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন লেগেই রয়েছে। এমতাবস্থায় বুথ লেভেল অফিসারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে। তাঁদের দাবি ভোটার তালিকায় সমীক্ষা করতে গেলে যদি মাঝপথে SIR নিয়ে কোনও বাকবিতণ্ডা শুরু হয় তাহলে সবার প্রথমে আক্রমণের শিকার হতে হবে তাঁদের। তাই সেই সব দুশ্চিন্তাকে মাথায় রেখেই গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে মহকুমার শাসকের কাছে BLO দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন জানিয়েছে যৌথ সংগ্রাম কমিটি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুললেন ভাস্কর
যৌথ সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের নেতৃত্বে উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে দুর্গাপুরে মহকুমার শাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এদিন ভাস্কর ঘোষ জানিয়েছেন, বর্তমানে এস আই আর নিয়ে রাজ্য এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মধ্যে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থায় কমিশনের হয়ে ভোটার তালিকা সমীক্ষা করতে যাওয়া তাঁদের কাছে খুবই আতঙ্কের। তাই শারীরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। একই দাবি তোলে প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিপূর্ণ করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন বলে মনে করছেন সকলে।
আরও পড়ুন: বাকি সিলেবাস, নির্বাচনের জন্য এগোচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় সেমেস্টার! কবে পরীক্ষা?
প্রসঙ্গত, গতকাল নবান্নে বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন যে বিহারে নির্বাচন কমিশন যে ভাবে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) করেছে, বাংলায় তা হবে না। আর সেই নিয়ে রীতিমত ফের উত্তাল পরিস্থিতি রাজনৈতিক অন্দরে। শুধু তাই নয় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককেও হুমকি দিয়ে বসলেন মমতা। আর সেই প্রসঙ্গ তুলে এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবী তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।