প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রথম থেকেই প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পরীক্ষার্থীদের ঝুড়ি ঝুড়ি অভিযোগ ছিল। আর এই বেনিয়ম-দুর্নীতির ঠেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল প্রাথমিকের নিয়োগ (Primary Recruitment) প্রক্রিয়া। সব শেষে বহুদিন ধরে হাইকোর্টে অনেক মামলা-মোকদ্দমা চলার পর ২০২২ সালে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তখনই পর্ষদের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন গৌতম পাল। দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার পর তিনি ঘোষণা করেছিলেন প্রতি বছর এখন থেকে পরীক্ষা হবে।
চলতি বছরে টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে না!
নয়া সভাপতি গৌতম পালের নির্দেশের পর সেই অনুযায়ী ২০২২-এর পর ২০২৩-এও প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হয়। কিন্তু গণ্ডগোলটা হয় এই বছর। যেহেতু আগের দু’বছর টেট পরীক্ষার চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ এখনও হয়নি, তাই আপাতত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না বলে কালীপুজোর আগে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয় পর্ষদের পক্ষ থেকে। বলা হয় আগে ২০২২ ও ২০২৩ এর দ্রুত নিয়োগ হবে, তারপর পরীক্ষা নেওয়া শুরু হবে। অর্থাৎ চলতি বছরে হবে না প্রাথমিক টেট। এই নিয়ে খানিক হতাশ ছিলেন পরীক্ষার্থীরা। তবে এর মাঝেই এল অন্য এক সুখবর।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় তোড়জোড়
জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলির জন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ সেই কারণে রাজ্য জুড়ে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে বর্তমানে কত শূন্য পদ রয়েছে, তা জানতে চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ প্রত্যেকটি জেলা ধরে ধরে তালিকা দিতে বলল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, স্কুল শিক্ষা দফতরকে৷ পরের মাস অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্যের থেকে শূন্য পদের তালিকা পেলেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফের বিজ্ঞাপন দিতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এদিকে এইমুহুর্তে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। হাইকোর্টের নির্দেশে দফায় দফায় সঠিক প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করা হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষিকা। আর এই আবহেই এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু করতে চাইছে প্রার্থমিক শিক্ষা পর্ষদ।