প্রীতি পোদ্দার: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি। তারপরেই ধুমধাম করে পালন করা হবে দুর্গাপুজো। চারিদিকে আলোর রোশনায় উজ্জ্বল হয়ে উঠবে কলকাতা। কিন্তু পুজোর সময় এই আলোর রোশনাইকে ঘিরে যখন মানুষ উচ্ছ্বসিত থাকবে ঠিক তখনই উল্টোদিকে উত্তরবঙ্গে এবার বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ সোমবার জলপাইগুড়িতে এক বেসরকারি হোটেলে একটি বৈঠক হয়। সেই সংগঠনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইলেক্ট্রিক্যাল কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতির একাংশ। এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন উত্তরবঙ্গের জেলার শ্রমিক এবং ঠিকাদাররা ৷ সেখানে তারা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিয়েছেন।
জরুরি পরিস্থিতিতে পরিষেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটবে!
ওয়েষ্টবেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিক্যাল কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য সভাপতি পবিত্র প্রামাণিক বলেন, “আমরা সমস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদান করে চলেছি। এমনকি নাগরিকদের জরুরী পরিস্থিতিতে আমরা সার্ভিস দিয়ে থাকি। প্রতি বছর পুজোর আগে আমাদের কিছু না কিছু বকেয়া পরিশোধ করে দেওয়া হয় সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু এবার আমাদের কোনো বকেয়া পরিশোধ করা হচ্ছে না। আমাদের মোট পাঁচটা জোন রয়েছে। শিলিগুড়ি জোনের সাত থেকে আট জোনের সঙ্গে আমরা একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা জরুরি পরিস্থিতিতে কাজ করলেও অন্যান্য কাজ করতে পারব না।”
১০৫ কোটি টাকার বকেয়া বাকি এখনও!
এছাড়াও এই বৈঠকে উঠে এসেছে শ্রমিকদের পুজোর বোনাস নিয়ে নানা মন্তব্য। পবিত্র প্রামাণিক বলেন, “পুজোর আগে প্রত্যেক শ্রমিকদের বোনাস ও অ্যাডভান্স দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি বছর পুজোর আগে শ্রমিকরা পয়সা পাবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কার জট কিছুতেই কাটছে না। তাই এখনই শ্রমিকরা কাজে আসা বন্ধ করে দিচ্ছে ৷ কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি কোনওভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে বিঘ্ন না হয়। আমরা সকলেই সরকারের কাছে দাবি করছি যাতে বকেয়া পরিশোধ জলদি করে দেয়। হিসেবের পরিসংখ্যান বলছে এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছে ১০৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।”
এর পাশাপাশি গ্রাহকদের উদ্দেশে হাত জোড় করে রাজ্য সভাপতি জানান, পুজোর আগে তাঁরা যথা সাধ্য চেষ্টা করবে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রে যদি বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে বাঁধার মুখে পড়তে হয়, তাহলে দয়া করে তাঁদেরকে যেন কোনো কুমন্তব্য করা না হয়। কারণ তাঁরা অপারগ। তবে ২৪ ঘন্টা পরিষেবা বন্ধ থাকছে না।