প্রীতি পোদ্দার, ঢাকা: শীতের মরশুমে ভেসেছে গোটা দেশ। গতকাল ছিল পহেলা অগ্রহায়ণ। আর এই মাস এলেই নতুন ধানের ঘ্রাণে মেতে ওঠে বাংলার গ্রাম-গ্রামান্তর। তবে শুধু ভারত নয় এই অনুষ্ঠানের সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও। নতুন চালের পিঠেপুলির ধুম আর গান-বাজানায় আমন্ত্রণ জানানো হয় সমৃদ্ধিকে। উৎসবের এই আনন্দ যেন দিকে দিকে চলে আসছে। কিন্তু এই আনন্দের মাঝেই এক চাপা উত্তেজনা তৈরী হয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের মনে। প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম এতটাই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে যে পকেটে বেশ টান পড়ছে সকলের।
নবান্ন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রতিটা বাজারে বেড়েছে নতুন আলুর কদর। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিনে তাই বাজারে ভিড় উপচে পড়েছে। কিন্তু ভিড় উপচে পড়লেও সবজি কিনতেই হাত পা কাঁপছে সকলের। কারণ সেখানে নতুন আলুর দাম ছাড়িয়েছে ৪০০ টাকা কেজি। তবে শুধু যে আলু তা নয় দাম বেড়েছে অন্যান্য সবজিরও।
ঊর্ধ্বমুখী সবজির দাম!
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকালে বাংলাদেশের বগুড়ার রাজাবাজার, ফতহে আলী বাজার ও অন্যান্য বাজার সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যেহেতু নবান্ন ছিল গতকাল, তাই সেই কারণে চাহিদা পূরণে বাজারে প্রচুর নতুন পণ্য উঠেছে। কিন্তু নতুন পণ্য উঠলেও দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। যার মধ্যে নতুন আলুর দাম ছিল অত্যাধিক। সঙ্গে বিভিন্ন সবজিও। দেখা গিয়েছে নতুন আলু প্রতি কেজিতে ৩৬০-৪০০ টাকা, পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, ফুলকপি পিস ৬০-৭০ টাকা, টমেটো কেজি ২৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা ও কাঁচা লঙ্কা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কেন বেড়েছে এত দাম?
বাজারে যেতেই যেন আকাশ ভেঙে পড়ল ক্রেতাদের মাথায়। নবান্নে নতুন আলুর স্বাদ গ্রহণ তো দূর চোখে দেখতেই ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে নতুন আলুর চাহিদা এতটাই বেশি ছিল যে, বাজারে তুলনামূলক ছোট এবং মাঝারি আকারের আলুই বেশি দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নবান্ন উপলক্ষে ক্রেতারা যেভাবে নতুন আলুর দিকে ঝুঁকছেন, তাতে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। তাই দামও বেশি।