প্রীতি পোদ্দার: গত ১৭ সেপ্টেম্বর, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় শেষ শুনানি হয়েছিল। আর সেই শুনানিতে CBI তদন্তে বেশ বিস্ময় প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছিল, CBI এর তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট নাকি বেশ গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। এমনকি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছিল CBI কে আরও সময় দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু শীর্ষ আদালতের ওই মন্তব্যের পরে কেটে গিয়েছে ১২ দিন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে গোটা রাজ্যে। কিন্তু সেখানেও জমলো আশঙ্কার মেঘ।
সুপ্রিম কোর্টে একাধিক বিচ্ছিন্ন মামলা!
সূত্রের খবর, দীর্ঘ জল গড়ানোর পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সবটাই ভেস্তে গেল। কারণ মামলায় বাঁধ সাধে অন্যান্য একাধিক বিচ্ছিন্ন মামলা। এদিন তেলেঙ্গানা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত মামলা থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের কোটা সংক্রান্ত একাধিক মামলা সহ কাঠগোড়ায় ওঠে পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতির বেতন সংক্রান্ত মামলাটি। কাজেই স্বভাবতই পিছিয়ে পড়ে আরজি করের শুনানি।
বিচারপতির বেতন প্রসঙ্গে বিস্ময় প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের
প্রাপ্য তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরের আরজি কর কাণ্ডের শুনানির আগেই বিচারপতিদের তরফে শুনতে চাওয়া হয় পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতির বেতন সংক্রান্ত সমস্যার কথা। বিগত ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে বেতন না পাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন ওই বিচারপতি। মামলা ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে উঠতেই পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতির আইনজীবী জানান, জেনারেল প্রফিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট না থাকায় কাজের শুরু থেকেই কোনও রকম বেতন পাননি তিনি। এরপরই বিচারপতির বেতন প্রসঙ্গে যথেষ্ট বিস্ময় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, বকেয়া টাকা সহ সমস্ত বেতন বিচারপতিকে ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি একটি অস্থায়ী জেনারেল প্রফিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট চালু করার কথা।
প্রসঙ্গত, পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতির বেতন সংক্রান্ত মামলা ছাড়াও এদিন আরজি কর মামলার শুনানির পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় তেলেঙ্গানা মেডিকেল কলেজের কোটা সংক্রান্ত মামলাটিও। সম্প্রতি, সে রাজ্যের হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, তেলেঙ্গানায় মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রায় ৮৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য। আর এরপরই তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার আরজি কর শুনানির আগেই মেডিকেল পড়ুয়াদের কোটা সংক্রান্ত মামলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন বিচারপতিরা। ফলত নির্দিষ্ট সময় থেকে অনেকটাই পিছিয়ে যায় আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া খুন এবং ধর্ষণের শুনানি।