মহালয়রা ভোরে মেঘ গর্জন-বৃষ্টি, দেবীর আগমন কী এবার নৌকায়? জানুন শাস্ত্রে কি লেখা

Published on:

sastra

প্রীতম সাঁতরাঃ রেডিওতে শুরু হয়েছিল মহিষাশুরমর্দিনী। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরে ছড়িয়ে পড়ছিল দেবী দুর্গার আগমনী সুর। মহালয়ার ভোর। ঠাণ্ডা হওয়ার সঙ্গে শুরু হল মেঘ গর্জন, বৃষ্টি। দেবীর আগমন এবার কিসে?

দেবীর আগমন এবার কিসে?

WhatsApp Community Join Now

মহিষাশুরমর্দিনী বাঙালি জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। মহালয়া মানেই বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ, মায়ের আগমনের অপেক্ষায় শুরু দিন গোনা। বৃষ্টি, মেঘ গর্জন সেখানে অনেকটাই বেমানান। দূর্গা পুজোর আগে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, দেবীর আগমন এবার কিসে?

বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর

মহালয়ার ভোরে যে বৃষ্টি হতে পারে তার পূর্বাভাস আগেই দেওয়া ছিল। বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। পূর্বানুমান সত্যি করে নেমেছে বৃষ্টি। বাংলার আকাশে নতুন করে নিম্নচাপের ভ্রূকুটি। জোড়া নিম্নচাপের ভ্রূকুটি। বৃষ্টি আপাতত চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পুজোর ক’দিনেও রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, লক্ষ্মীপুজোর সময়েও আকাশে মেঘ জমতে পারে, হতে পারে বৃষ্টি।

দোলায় আসা মানে মহামারী, দুর্যোগ

মর্তে এবার দেবীর আগমন দোলা বা পালকিতে। শাস্ত্র মতে, দোলা বা পালকিতে দেবীর আগমন খুব একটা শুভ বলে মনে করা হয় না। দোলায় আসা মানে মহামারী, দুর্যোগ ইত্যাদি বলে মনে করা হয়।

দেবীর গমন এবার বেশ শুভ

তবে দেবীর গমন এবার বেশ শুভ। দেবী ফিরবেন গজে। গজে বা হস্তীকে দেবী দুর্গার সবথেকে উৎকৃষ্ট বাহন বলে মনে করা হয়। বয়ে নিয়ে আসে শুভ ফল। শাস্ত্র মতে, দেবীর গজে আগমন কিংবা গমন মানে শস্যপূর্ণ ধরিত্রী প্রাপ্তির সম্ভাবনা। মানে সুজলাং সুফলাং।

সঙ্গে থাকুন ➥