শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগে এবার সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বড়সড় নির্দেশিকা জারি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। একদিকে যখন বাংলার লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী DA বা মহার্ঘ্য ভাতার বৃদ্ধির অপেক্ষা করছেন সেখানে আচমকা রাজ্যের অর্থ দফতরের তরফে এক বিরাট নির্দেশিকা জারি করা হল। আর এই নির্দেশিকা বিশেষ করে জারি করা হয়েছে কর্মীদের হাজিরা সংক্রান্ত বিষয়ে। আপনিও যদি রাজ্য সরকারি কর্মচারী হয়ে থাকেন এবং নবান্নে চাকরি করে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
বিশেষ নির্দেশিকা জারি নবান্নের
বেশ দীর্ঘদিন ধরে নাকি অভিযোগ করছিল যে রাজ্য সরকারি কর্মীরা হাজিরা নিয়ে রীতিমতো কারচুপি করছিলেন। তবে আর নয়, এবার এই কারচুপি রুখতে বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। এতদিন ধরে হাজিরার জন্য খাতায় সই করার নিয়ম ছিল। তবে এবার সেই নিয়ম আচমকাই বদলে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। খাতায় সই করার নিয়মে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে আনা হচ্ছে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। অর্থাৎ কোন সরকারি কর্মচারী কখন আসছেন বা কখন বেরোচ্ছেন সেটা এই বায়োমেট্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে আগামী দিন থেকে ধরা যাবে।
নির্দেশিকা জারি অর্থ দফতরের
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দফতরের তরফে জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, নবান্নে অর্থ দফতরের কর্মীদের হাজিরার ক্ষেত্রে একমাত্র বায়োমেট্রিক পদ্ধতিই ‘গ্রহণযোগ্য’ বলে চালু হল। গত সোমবার ওই সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের উপসচিব (ডেপুটি সেক্রেটারি) নাভেদ আখতার। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, এত দিন বায়োমেট্রিকের পাশাপাশি খাতায় সই করার সুবিধা বজায় থাকলেও তা এ বার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এমনিতে ২০২৩ সাল থেকেই নবান্নের বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু হয়েছিল তবে এর পাশাপাশি ছিল খাতায় সই করার নিয়মও। তারপরেও বেশকিছু সরকারি কর্মচারী হাজেরার ব্যাপারে কারচুপি করছিলেন বলে অভিযোগ করছিল ফলে এবার এই খাতায় সই করার নিয়মে পরিবর্তন ঘটানো হলো। অর্থ দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, ‘সকলকে বারবার বলা হলেও গত এক বছরে অনেকেই বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা ব্যবহারের সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। সেই কারণেই এই নির্দেশ। সকলে বায়োমেট্রিক ব্যবহার না করায় মাসের শেষে কর্মীদের হাজিরা সংক্রান্ত রিপোর্ট বানাতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। এ বার আর সেই সমস্যা থাকবে না।’ তিনি আরও জানান, ‘বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা তো এমনিতে চালু রয়েছেই। তাই নতুন করে তারিখ জানানোর কিছু নেই। শুধু খাতায় সই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’