কলকাতাঃ মঙ্গলবার সকাল থেকেই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে অ্যাকশন মোডে দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED-কে। গতকাল দেগঙ্গা বসিরহাট নিউটাউন থেকে শুরু করে কলকাতার বহু জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেন ইডির আধিকারিকরা। ইডির আধিকারিকদের নজরে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর বিশ্বাস। এবার এই তল্লাশি কাণ্ডের পর প্রকাশ্যে এলো বড়সড় তথ্য টান ২১ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযানের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছে ইডি।
গুরুত্বপূর্ণ নথি পেল ইডি
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে দেগঙ্গাতেও তল্লাশি চালায় ইডি। দেগঙ্গার চালকল ব্যবসায়ী আলিফ নূর মুকুল ও আনিসুর রহমান ওরফে বিদেশের বাড়িতেও টানা ম্যারাথন তল্লাশি। সূত্রের খবর, বিদেশ ও মুকুলের বাড়ি লাগোয়া চালকল থেকে উদ্ধার হয়েছে রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতরের সিল যুক্ত কিছু নথি। এই বিদেশ আর মুকুল হল বাকিবুর রহমানের মামাতো ভাই। যাইহোক, ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্রই। বিদেশ আর মুকুলের এই রাইস মিলই রেশন দুর্নীতি কান্ডের মূল আখড়া ছিল কিনা তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে ইডি।
কী বলছেন আনিসুর রহমান
ইডির ম্যারাথন তল্লাশি নিয়ে মুখ খোলেন আনিসুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “ওরা যা যা নথি চেয়েছে সবটাই দিয়েছি। আগামীতেও তদন্ত সহযোগিতা করব। তবে দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক, বাংলার দায়িত্বশীল নাগরিক ও তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বশীল কর্মী হিসাবে বলতে পারি যখন যখন যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে আমরা করব। একটা মোবাইল নিয়ে গিয়েছে। কিছুই পায়নি।”
একাধিক চালকলে হানা ইডির
বারিক বিশ্বাসের রাইস মিলেও হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, এই বারিক বিশ্বাস আবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমানের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ। এই বারিক বিশ্বাস পেশায় একজন ব্যবসায়ী। এই বারিক বিশ্বাসের গুণের শেষ নেই। নাকি ১০ বছর আগে সোনা পাচার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।