খিদিরপুরে পার্পল লাইন স্টেশনের দরকার নেই! মেট্রো কর্তৃপক্ষকে জানাল রাজ্য সরকার

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ফের একবার প্রশ্নের মুখে খিদিরপুর মেট্রো স্টেশনের (Kidderpore metro station) কাজ। মূলত জমি জটে অনিশ্চিত মেট্রোর পার্পেল লাইনের খিদিরপুর স্টেশন। এখানে মেট্রোর সম্প্রসারণ ঘিরে ব্যাপক সংশয় দেখা দিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসেই খিদিরপুর থেকে টানেল বোরিং মেশিন ভূগর্ভে নামবে। কিন্তু এরই মাঝে বেঁকে বসল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবার সরকারের তরফ থেকে কলকাতা মেট্রোকে যা বলা হল তা সকলকে অবাক করে রেখে দিয়েছে। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।

ফের প্রশ্নের মুখে খিদিরপুর মেট্রো স্টেশন!

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্য সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, খিদিরপুর স্টেশনের জন্য তাঁরা জমি দিতে পারবে না। রাজ্য সরকার মেট্রো রেলওয়েকে জানিয়েছে যে পার্পল লাইনের খিদিরপুর মেট্রো স্টেশনের জন্য বডিগার্ড লাইনের জমি দেওয়া এখনই সম্ভব নয়। গত মে মাসে প্রকল্প পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীর (পিএমজি) সভায় রাজ্য সরকার বলেছিল, “এই জমির অনুমোদন নীতিগত পর্যায়ে বিচারাধীন। রেল মন্ত্রকের সাথে পরামর্শ করে ব্যবহারকারী সংস্থা খিদিরপুর স্টেশন ছাড়াই লাইন তৈরির কথা বিবেচনা করতে পারে।”

এদিনের গুরুত্বপূর্ণ সভায় রাজ্য সরকার আরভিএনএলকে খিদিরপুর স্টেশন এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি রেল মন্ত্রকের সঙ্গে তোলার সুপারিশ করে এবং এর সুবিধা-অসুবিধাগুলিও তুলে ধরে।” জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই এসপ্ল্যানেড অবধি সুড়ঙ্গ খননের কাজ শুরু করবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যদিও বারবার বাধ সেধেছে আলিপুর বডিগার্ড লাইন।

কী বলছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ?

খিদিরপুরের এই অংশে কাজ চালুর পর কোনো অগ্রগতি নেই। রাজ্যের অসম্মতির ফলে এখন আরভিএনএল খিদিরপুর স্টেশন ছাড়াই পার্পল লাইনের কাজ করছে। নজরে রয়েছে ৩.৫ কিলোমিটার মোমিনপুর-ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল অংশ। খিদিরপুরকে ছাড়া বিকল্প হিসেবে কী করা যায় এখন সেই নিয়ে কাজ করছে রেল। রাজ্যের এহেন জমি দেওয়ার না সিদ্ধান্তকে মোটেও ভালো চোখে নেয়নি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এটি বাঁচাতে বিকল্পগুলি অনুসন্ধান করছে। মেট্রোর জিএম পি উদয় কুমার রেড্ডি বলেছেন, ‘এটা এখন স্পষ্ট যে রাজ্য খিদিরপুরে আমাদের একটি স্টেশন তৈরি করতে আগ্রহী নয়। সমীক্ষায় দেখা গেছিল যে প্রস্তাবিত স্টেশনটি তৈরি হলে প্রতিদিন ৪৪,০০০ লোক উপকৃত হতেন। কিন্তু এখন স্থানীয়রা এই মেট্রো সংযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। এটি শহরের ক্ষতি।’

আরও পড়ুনঃ মধ্যবিত্তদের জন্য বড় স্বস্তির খবর, লাফিয়ে লাফিয়ে কমছে সোনা, রুপোর দাম! আজকের রেট

ভূগর্ভস্থ খিদিরপুর স্টেশনটি মূল ডায়মন্ড হারবার রোডের নীচে নির্মিত হত। কলকাতা আর্মড পুলিশের আলিপুর বডিগার্ড লাইনের ৮৩৭ বর্গমিটার জমি ট্র্যাফিক ডাইভারশন, ইউটিলিটি স্থানান্তর, ভবন অ্যাক্সেস ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হত। জিএম আরও বলেন যে মেট্রো রেলওয়ে এবং রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল) উভয়ই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে, যদিও সমাধান খুঁজে বের করা খুব কঠিন হবে। খিদিরপুরের বিকল্প হিসেবে রেসকোর্সকে নজরে রাখছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ বলে খবর। এখানে জানিয়ে রাখি, জোকা-এসপ্ল্যানেড লাইনটি এখন জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত ৭.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটিকে আরও সম্প্রসারণ করতে মরিয়া রেল কর্তৃপক্ষ।