বকেয়া DA নিয়ে নতুন চালাকি রাজ্যের? চাপ বাড়তে পারে কর্মীদের! উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ

সহেলি মিত্র, কলকাতা: আর মাত্র কয়েকদিন তারপরেই শেষ হবে ডিএ (DA) মেটানোর সময়সীমা। অর্থাৎ আগামী ৩০ জনের মধ্যে বাংলার লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মীকে বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটাতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। যদিও এই সময়সীমার মধ্যে রাজ্য সরকার বকেয়া ডিএ মেটাতে পারবে কিনা সেই নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এসবের মাঝেই রাজ্য সরকারের তরফে বাজার থেকে বিপুল পরিমাণের ঋণ তোলা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে। যদিও সরকারি কর্মীদের একাংশের মতে রাজ্য সরকারের কাছে বকেয়া ডিএ মেটানোর মতো যথেষ্ট টাকা রয়েছে। তাদের মূলত ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে বলে অভিযোগ।

সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের মতে, সামনে রয়েছে কিন্তু সেই ভোটের আগে সরকারি কর্মীদের ডিএ মেটানোর জন্য যথেষ্ট টাকা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে। এই ঋণ নিয়ে ভোটের আগে সরকারি কর্মীদের ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার বলেছেন, ‘সাসপেন্স এবং মিসলেনিয়াস অ্যাকাউন্টে হেডে ১১.৬৫ লাখ কোটি টাকা রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

তাঁর বক্তব্য, বকেয়া ডিএ দিতে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন, তার থেকে অনেক বেশি অর্থ আছে রাজ্যের কাছে। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে ৪০,০০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। আর সেই হিসাবে ২৫ শতাংশ ডিএ মেটাতে খরচের অঙ্কটা ১০,০০০ কোটি টাকা পেরিয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ দু’দিন শিয়ালদা ডিভিশনে বাতিল একগাদা ট্রেন! তালিকা জারি করল পূর্ব রেল

ডিএ নিয়ে চালাকি করছে সরকার?

অন্যদিকে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক  মলয় মুখোপাধ্যায় ফেসবুক বার্তায় লিখেছেন, ‘বকেয়া ডিএ দেবে বলে সরকার নাকি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে চার হাজার কোটি টাকার ঋণ নিচ্ছে, এই খবরে আমরা জর্জরিত৷ বকেয়া ডিএ-এর মাত্র ২৫% দিতেই লোন? বাকি অংশের জন্য তা হলে কত? আসলে ভোটের আগে মাননীয়া বোঝাতে চাইছেন, দেখ জনগণ (রাজ্যবাসী) উন্নয়ন বন্ধ রেখে আমাদেরকে লোন করে ডিএ’র টাকা দিতে হচ্ছে৷ এহেন চালাকি কর্মচারি সমাজ বুঝে গিয়েছে৷’